মধ্যপ্রাচ্য হতে পারে রফতানি খাতের নতুন হাব
নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি পণ্য রফতানির বিরাট সুযোগ থাকলেও উদ্যোগের অভাবে বাজারটি বাংলাদেশ ধরতে পারছে না। এমনটি মনে করছেন বাংলাদেশ ফোরাম কাতারের সভাপতি (বিএফকিউ) ইফতেখার আহমেদ।
মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি পণ্যের নতুন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি। ইফতেখার আহমেদ বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি মূলত পাশ্চাত্যমুখী। কিন্তু এখন নতুন বাজার উন্মোচন করতে হবে। বাংলাদেশি পণ্যের নতুন এক দিগন্ত হয়ে উঠতে পারে পুরো মধ্যপ্রাচ্য। নতুন এ বাজার ধরতে প্রয়োজন নতুন উদ্যোগ।
‘কাতারের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশের সক্ষমতা রয়েছে। এখন শুধু সেতুবন্ধন প্রয়োজন। কাতারের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারলে দেশটিতে বাংলাদেশের ব্যবসা বাড়বে।’
‘শুধু কাতার নয় পুরো মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের রফতানি খাতের নতুন হাব হয়ে উঠতে পারে’ উল্লেখ করে ইফতেখার আহমেদ আরও বলেন, ৩০-৪০ বছর আগেও মধ্যপ্রাচ্য এখনকার মতো উন্নত ছিল না। এ কারণে মধ্যপ্রাচ্য বলতে অনেকেই মরুভূমির দেশ, গরমের দেশ হিসেবেই বেশি জানে। তবে গত ২০-৩০ বছরে মধ্যপ্রাচ্য অনেক এগিয়েছে।’
বর্তমানে কাতার প্রবাসী এ বাংলাদেশি বলেন, এখন বাংলাদেশ থেকে যেসব পণ্য কাতারে যাচ্ছে তারা সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশি ক্রেতাদের টার্গেট করে এসব পণ্য রফতানি করছে। কিন্তু স্থানীয় অধিবাসীদের ক্রয়ক্ষমতা প্রবাসী বাংলাদেশিদের তুলনায় অনেক বেশি। তাদের টার্গেট করে পণ্য রফতানি করলে অল্প বিক্রি করেই বেশি লাভ করা সম্ভব।‘
তিনি বলেন, সৌদি ও প্রতিবেশী কিছু দেশের অবরোধের কারণে কাতার এখন বিভিন্ন পণ্যের উৎস খুঁজছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ নিতে পারে।’
ইফতেখার আহমেদ বলেন, আজ হয়তো মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের পোশাক আসছে না। তবে মনে রাখতে হবে মধ্যপ্রাচ্য অনেক বড় বাজার। যার ভবিষ্যৎ অনেক ভালো। ওনারা (বিজিএমইএ নেতারা) বিচক্ষণ। আশা করি, একসময় তারা বিষয়টি উপলব্ধি করবেন।
‘কাতারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমদানিনির্ভর দেশ কাতার প্রতিবেশীদের অবরোধের পর থেকে অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চায়। এ কারণে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি করতে চায় দেশটি। খাদ্য, মাছ, গোশতসহ বিভিন্ন পণ্যে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ দেখতে চায়। এ কারণে কেউ এখানে পণ্য উৎপাদন করতে চাইলে দেশটি আগ্রহ দেখাবে।’
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন