আদালতে তসলিমা নাসরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা নথিভুক্তের আদেশ
‘ধর্ষকের কাছে নারীর কোন ধর্ম নেই’ শীর্ষক একটি কলাম লেখাকে কেন্দ্র করে নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাতের সম্পাদক মো. মাহবুব আলম নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় মামলাটি (মামলা নম্বর-৩৬) দায়ের করেন।
মামলায় তসলিমা নাসরিনসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন অনলাইন পোর্টাল ‘উইমেন চ্যাপ্টার’ সম্পাদক সুপ্রীতি ধর, সুস্মিতা শিমসি ও লীনা হক।
এ বিষয়ে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইসলাম অবমাননামূলক লেখা ইন্টারনেটে প্রকাশ করায় তসলিমা নাসরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা হয়েছে।’
মামলার বিষয়ে আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম জানান, মামলায় অন্য আসামিরা হলেন নারী বিষয়ক পোর্টাল উইমেন চ্যাপ্টারের সম্পাদক সুপ্রীতি ধর, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুচিস্মিতা সীমন্তি ও উপদেষ্টা সম্পাদক লীনা হক।
এ বিষয়ে মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাহবুব আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শাহজাহানপুর থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাদীর অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।’
গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় শাহজাহানপুর থানায় মামলা দায়েরের জন্য গেলে কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ না করে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। এরপর মাহবুব আলম আদালতে আবেদন করলে ১৯ এপ্রিল আদালত শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
শাহজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মাহবুব আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শাহজাহানপুর থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাদীর অভিযোগটিকে মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
ওসি আরও বলেন, যেহেতু আসামিদের মধ্যে লেখিকা তসলিমা নাসরিন দেশে নেই। তিনি ভারতে থাকেন। তাই তাকে এ মুহূর্তে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়। তবে বাকি আসামিদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাদী শাহজাহানপুর এলাকায় বসে ইন্টারনেটে তাদের লেখা পড়ে অভিযোগ করেছেন বলে তদন্তের দায়িত্ব ওই থানাকে দেওয়া হয়েছে। ‘উইমেন চ্যাপ্টার’ এ প্রকাশিত নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের ‘ধর্ষকের কাছে নারীর কোনো ধর্ম নেই’ শীর্ষক লেখার জন্য এই মামলাটি হলেও নারী পোর্টালটিতে অন্যরা প্রায়ই ইসলামবিরোধী লেখা লিখে আসছেন বলে বাদীর অভিযোগ।
একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল মামলার বিষয়ে শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে অভিযোগটির বিষয়ে তদন্ত করার আদেশ দেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন