ভারতে মুসলিম হওয়ায় কিশোরকে বাঁচাতে অস্বীকার
মাস তিনেক আগেই তরতাজা ১৩ বছরের একটি সন্তানকে বাবা মা নবম শ্রেনীতে ভর্তি করিয়ে আসেন পূর্ব মেদিনীপুরের শ্রীরামপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুলে। কিন্তু মাস তিনেকের মধ্যেই যে এভাবে সন্তানের মৃত্যুর খবর পাবেন সেটা ভাবতেই পারছেন না উত্তর ২৪ পরগনার কাটিয়াহাট দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম গাজী।
উল্লেখ্য মাস তিনেক আগে পুত্র সরিফুল গাজীকে নবম শ্রেনীতে ভর্তি করান পূর্ব মেদিনীপুরের শ্রীরামপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুল নামের একটি আবাসিক শিক্ষা কেন্দ্রে।পরিবারের দাবী-“মিশন কতৃপক্ষ আমার ছেলেকে ভর্তি নেবেনা বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ওখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের চাপে শেষমেষ ছেলেকে ভর্তি নেয় মিশন কতৃপক্ষ । কিন্তু এভাবে ভর্তি নেওয়ার পরেও যে ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলবে সেটা ভাবতে পারছি না।”
মিশনের পার্শবর্তী স্থানীয় হাফিজুল ইসলামের বক্তব্য-“কোন এক অজানা কারনে ছেলেটিকে মিশনে ভর্তি নিচ্ছিল না,কিন্তু এলাকার মুসলিমদের চাপে কতৃপক্ষ ছেলেটিকে ভর্তি নেয়। পূর্বের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একথা আমরা জোর দিয়েই বলছি ছেলেটিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মিশন অবরুদ্ধ করে রেখেছি। দোষিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমরা অবরোধ তুলবো না। ”
টাইমস্ বাংলার পক্ষ থেকে মিশন কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন