করের আওতায় আসছে সিএনজি অটোরিকশা
সাস নিউজ: আগামী বাজেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করের আওতায় আনা হবে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স থাকা উচিত।
আজ বৃহস্পতিবার এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব কথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং থ্রি হুইলার্স মোটরবাইক মালিকদের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করা হবে।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতি, ফোর স্ট্রোক সিএনজি অটোরিকশা অ্যান্ড থ্রি হুইলার্স মোটরবাইক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ মোটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠন অংশ নেয়।
ফোর স্ট্রোক সিএনজি অটোরিকশা অ্যান্ড থ্রি হুইলার্স মোটরবাইক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. আসলাম আলী বলেন, সিএনজি মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স থাকতে হবে। পাশাপাশি মালিকদের করের আওতায় আনা উচিত। একই সঙ্গে সিএনজিকে অ্যাপভিত্তিক সেবায় আসতে হবে। এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান সিএনজি মালিকদের করের আওতায় আনার কথা জানান। তিনি বলেন, সিএনজি মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স থাকা উচিত। অনেকেই বলছেন, বাস-ট্রাককে কীভাবে আমরা করের আওতায় আনতে পারি। আগামী বাজেটে সিএনজি মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স ও টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হবে। পরিবহন ব্যবসার পাশাপাশি অন্য একটি ব্যবসা দেখিয়ে যাতে কর ফাঁকি দেওয়া না যায়, সেদিকে এনবিআর সতর্ক নজর রাখছে বলে তিনি জানান।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আসন্ন বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়লেও করের বাড়তি বোঝা যেন ব্যবসায়ীদের ওপর না পড়ে, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। কর এমনভাবে নির্ধারণ করা হবে, যাতে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাড়তি কর দিতে পারেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবগুলো গ্রহণের জন্য এনবিআর একটি কমিটি গঠন করবে, যারা বাজেটের পরেও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে প্রস্তাব নিয়ে কাজ করতে পারবে। ভালো প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাজেটের পরেও এসআরও জারির মাধ্যমে পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে। চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা আগামী মাসে এনবিআর এই কমিটি গঠন করবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির সভাপতি মো. আরিফুর রহমান মিনা মোটরসাইকেল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তার প্রস্তাব করেন। একই সঙ্গে তিনি মোটরসাইকেল উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির যে সুবিধা আছে, সেটা আরও পাঁচ বছর অব্যাহত রাখার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, ‘মোটরসাইকেল উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বহাল আছে। আমরা আরও পাঁচ বছর এই সুবিধা বহাল রাখার দাবি করছি। বাংলাদেশ মোটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতি মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ এবং টায়ার টিউবের লিভ স্প্রিংয়ের ওপর আরোপিত ৩০ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করে।
সভায় এনবিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন