ভারত বনধকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, কারফিউ, ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা
সাস নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা ও চাকরিতে জাতি ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিরোধিতায় ভারত বনধকে কেন্দ্র করে বিভিন্নস্থানে সহিংসতা, ভাঙচুর, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আজ (মঙ্গলবার) পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনকে কারফিউ জারিসহ ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হয়েছে।
মূলত উচ্চবর্ণের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারত বনধের ডাক দেয়ায় বিভিন্ন রাজ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। রাজস্থানের ‘সর্ব সমাজ’ নামে একটি সংগঠন বনধের সমর্থনে বিবৃতি দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বনধ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বনধকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় জানমালের যাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য সব রাজ্যকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর, মুজাফফরনগর, শামলি ও হাপুড়ে ইন্টারনেট পরিসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলায় সমস্ত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মীরাট জোনের ৬ জেলায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রাজস্থানের জয়পুরে গতকাল (সোমবার) রাত থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাজস্থানের বিভিন্ন শহরে সতর্কতা জারি করাসহ জয়পুরে ইণ্টারনেট পরিসেবা বন্ধ করা হয়েছে।
মধ্য প্রদেশের ভোপালে আজ সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়েছে। ভিন্ড ও মুরেনাতে কারফিউ জারিসহ ওই এলাকায় ৬ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
গোয়ালিয়রে পরিস্থিতি মোকাবিলায় দু’হাজারের বেশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে।
বিহারের আরানগর থানার আনন্দনগর এলাকায় বনধ সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। আরাতে কয়েকশ’ যুবক পাটনা প্যাসেঞ্জার ট্রেন অবরোধ করেছে। এখানে ক্ষুব্ধ যুবকরা রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে সংরক্ষণের বিরোধিতায় স্লোগান দেন। আরাতে পাল্টাপাল্টি পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় ৭ জন আহত হয়েছেন। গয়াতে বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলা করতে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়।
বনধের ফলে পাটনা-কোলকাতা জোনে রেল চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। ভোজপুর, নওয়াদাসহ আরা বকসার জাতীয় সড়কে অবরোধজনিত কারণে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়েছে।
মথুরাতে বৃজমণ্ডল ক্ষত্রিয় রাজপূত সভার পক্ষ থেকে বনধের সমর্থনে মানুষজন সড়কে নেমে বিক্ষোভ দেখায়।
ভারত বনধ সমর্থকদের দাবি, জাতি বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে নয় আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য সংরক্ষণ থাকা উচিত যাতে প্রত্যেক সমাজের মানুষ সমাজের মূল ধারায় আসতে পারে। দেশে নিম্নবর্ণের তপসিলি জাতি/উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। উচ্চবর্ণের মানুষজন তার বিরোধিতায় এবার মাঠে নেমে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন।#
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন