চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ১০ দিনের গোলাবারুদও নেই ভারতের
সাস নিউজ ডেস্ক: : ডোকলাম নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, সেই সময় কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল-এর (ক্যাগ) রিপোর্টে চিন্তার ভাঁজ প্রতিরক্ষা মহলে। ক্যাগ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনার ভাঁড়ারে যা গোলাগুলি রয়েছে, তার ৪০% একটানা ১০ দিনের যুদ্ধে ফুরিয়ে যাবে। অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডকে (ওএফবিও) একহাত নিয়ে ক্যাগ রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ১৫২ রকমের গোলাবারুদের মধ্যে ৪০ শতাংশই ১০ দিনের আগেই ফুরিয়ে যাবে। এখানেই শেষ নয়, আরও ৫৫% গোলাবারুদ একেবারে খাদের কিনারায় রয়েছে। পোশাকি ভাষায় একে বলে ‘মিনিমাম অ্যাকসেপ্টেবল রিস্ক লেভেল’ বা MARL। একটানা ২০ দিনের যুদ্ধে সেই রসদও ফুরিয়ে যাবে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে দাবি করেছে, কামানের জন্য প্রয়োজনীয় গোলা থাকলেও তার ‘ফিউজ’ রয়েছে মাত্র ১৭%। অর্থাৎ, যুদ্ধ বাধলে কামানের গোলা থাকলেও সেই গোলা ছুড়তে যে ‘ফিউজ’ লাগে, তার অভাবে ৮৩% হাই ক্যালিবারের গোলা-ই স্রেফ পড়ে থেকে নষ্ট হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বশেষ নির্দেশ মোতাবেক, সেনাকে অন্তত ৪০ দিনের প্রবল লড়াইয়ের জন্য তৈরি থাকতে হবে। রসদে থাকতে হবে প্রয়োজনীয় গোলাগুলি। কিন্তু ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে ক্যাগ রিপোর্টে দেখা যায়, সেনার ভাঁড়ারে মাত্র ২০% গোলাগুলি রয়েছে যা ৪০ দিনের প্রবল সংঘর্ষে কাজে লাগবে। তার আগের বছর, ২০১৫-তেও ক্যাগ রিপোর্ট সেনার গোলাগুলির নিম্নমান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়। বছরের পর বছর ওএফবি কেন সেনার জন্য পর্যাপ্ত গোলাবারুদ বানাতে পারছে না, এই অভিযোগও তোলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। শুধু অস্ত্রর গুণমানই নয়, ৬.২০ কোটি টাকার একটি বেলুন আমদানি করেও ক্যাগ রিপোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে DRDO। নজরদারির সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের জন্য ওই বেলুন আমদানি করা হয়। গোটা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয় ৪৯.৫০ কোটি টাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়। এছাড়াও প্রতিরক্ষা খাতে একাধিক আর্থিক অসঙ্গতি ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ক্যাগ রিপোর্টে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, চিনের দাদাগিরি রুখতে কতটা প্রস্তুত ভারত? চিনকে রুখে দিতে জাপানের মতো এশীয় দেশগুলি যখন নিজেদের ঘর গুছোতে শুরু করেছে, তখন ভারতের প্রতিরক্ষার দশা এমন বেহাল কেন? অপ্রিয় প্রশ্নটা তুলেই দিল ক্যাগ রিপোর্ট
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন