পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে সাহায্য করছে তুরস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে তুরস্কের দিকে মুখ ফিরিয়েছে পাকিস্তান।
এর সর্ব-সাম্প্রতিক উদাহরণ হলো ভূমধ্য সাগরে চলমান ১২ দিনব্যাপী পাকিস্তান-তুরস্ক নৌ মহড়া। এক্সারসাইজ দগু আকদেনিজ নামে এই অনুশীলন শুরু হয়েছে ৯ ডিসেম্বর। পাকিস্তান নৌবহিনীর গাইডেড মিসাইল ফ্রিগেট পিএনএস আলমগীর এতে অংশ নিয়েছে। এতে আরো অংশ নিয়েছে একটি পি৩সি অরিন মেরিটাইম সারভেইল্যান্স এয়ারক্রাফট। তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় নৌঘাঁটি আকাসজে রয়েছে আলমগীর। আর, ২০ জন ক্রুসহ অরিয়ন রয়েছে কাছাকাছি দালামান বিমানঘাঁটিতে।
সম্প্রতি তুর্কি নৌবাহিনীতে কমিশন পাওয়া দুটি উভয়চর জাহাজ টিসিজি বেরাকতার ও টিসিজি সানকাকতার এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। এতে গানারি, এন্টি-পাইরেসি ও দুই দেশের বিশেষ বাহিনীগুলো যৌথ অভিযানের মহড়া হচ্ছে।
এছাড়া পাকিস্তানের কাছে চারটি এমআইএলজিইএম মিসাইল করভেট বিক্রির পরিকল্পনা করেছে তুরস্ক। এর দুটি তুরস্কে ও দুটি পাকিস্তানে তৈরি হবে। এ লক্ষ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তর চুক্তিও প্রস্তুত হয়ে আছে। পাকিস্তান নৌবাহিনীর তিনটি আগস্টা-ক্লাস সাবমেরিন আপগ্রেড করছে তুরস্ক। এছাড়া তুরস্ক একটি বড় আকারের ট্যাঙ্কার পিএনএস মোয়াবিন নির্মাণেও পাকিস্তানকে সহায়তা করেছে।
গোলাবারুদ তৈরিতেওে তুরস্কের কাছ থেকে সহায়তা পাচ্ছে পাকিস্তান। পাকিস্তান অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টারি (পিওএফ) সানজাওয়াল তুরস্কের প্রতিষ্ঠান এটিইএসসিআই-কে ১২.৭ এমএম গোলা প্রস্তুত করার প্রস্তাব দেয়। জবাবে চলতি বছরের জুনে সাত সদস্যের তুর্কি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সফর করে। পরিদর্শনের পর তুর্কিরা জানায় যে, গোলা তৈরির জন্য পিওএফ-কে রিফারবিশ করতে হবে। এ জন্য কারখানাটিকে তুরস্কে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়।
এই দলটি আতেসির সহায়তায় ৯ এমএম গোলা প্রস্তুতকারী ওয়াহ ইন্ডাস্ট্রিজ লি. পরিদর্শন করে।
পাকিস্তানে আর্মার ভেদকারী ইনসেনডিয়ারি এমুনিউশন তৈরির জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে পারে তুরস্ক।
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে গোলা-গুলি রফতানির সুযোগ খুঁজছে পাকিস্তান। পিওএফ-এর রফতানি বিভাগ মিশরের কাছে ১৩০ এমএম হাইএক্সপ্লোসিভ কামানের গোলা রফতানি করতে যাচ্ছে। আগামী ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে ৪,০০০-৭০০০ গোলা রফতানি করা হবে বলে জানা গেছে। মিসরে অন্যান্য কামানের গোলাও রফতানি করছে পাকিস্তান। এর মধ্যে ১৫৫ এমএম ও ১০৫ এমএম গোলা রয়েছে।
পাকিস্তান মালয়েশিয়ার কাছে ৪০০ বাকতার শিকান মডেলের ৮সি এন্টি-ট্যাংক মিসাইল বিক্রি করেছে। এগুলো তৈরি করেছে রাওয়ালপিন্ডির চাকলালায় অবস্থিত গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড ডিফেন্স সলুশন্স। এসব ক্ষেপনাস্ত্র হলো চীনের এইচজে৮ ক্ষেপনাস্ত্রের পাকিস্তানী সংস্করণ। পদাতিক বাহিনীও এগুলো ব্যবহার করতে পারে। এপিসি ও হেলিকপ্টারে এগুলো মোতায়েন করা যায়।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন