নেপালের পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাঠমান্ডুতে মঙ্গলবার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনার সময় নেপালে ২০টি পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
বাণিজ্য বিকাশে নেপাল-বাংলাদেশ কারিগরি কমিটির চতুর্থ সভা ছিল এটি। উভয় দেশ টেরিফ ও নন-টেরিফ বাধা দূর করে বাণিজ্য সহজ করতে ইতিবাচক ছিল। নেপালের শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহবিষয়ক কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচনায় অংশ নেয়া মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা (মিডিয়ার সাথে কথা বলার দায়িত্ব না থাকায় তিনি পরিচয় প্রকাশ করেননি) বলেন, বাণিজ্য ইস্যু ছাড়াও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা নেপালের পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
বিদ্যুৎ সমস্যায় থাকা বাংলাদেশ অব্যাহতভাবেই নেপালের জ্বালানি প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে।
ঢাকায় সম্প্রতি জ্বালানি কর্মকর্তাদের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে উভয় দেশ ভারতের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বাণিজ্যে সম্মত হন।
ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার নিয়ে নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ এখন আলোচনা করছে। এর চার মাস আগে নেপাল ও বাংলাদেশী জ্বালানি কর্মকর্তাদের মধ্যকার বৈঠকে ভারতের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমঝোতা হয়।
গত সপ্তাহে সমাপ্ত নেপাল-ভারত সহযোগিতাবিষয়ক সপ্তম যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য তিন মাসের মধ্যে ত্রিদেশীয় সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তার মতে, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রিতে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য স্থানীয় কার্ডামম, ইয়ার্ন ও ব্রুম গ্রাস (অ্যমরিসো) রফতানি অনুমোদন করার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করে নেপাল। তিনি বলেন, একইভাবে বাংলাদেশী বাজারে নেপালি ফলসহ কৃষিজ পণ্য বিক্রিও সহজ করতে বলে কাঠমান্ডু।
দুই দেশ সীমান্ত দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল সহজ করা নিয়েও আলোচনা করে। তৃতীয় দেশের সাথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে নেপালি কার্গো যান প্রবেশের সুযোগ সহজ করতেও বাংলাদেশ ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে।
মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, দুই দেশের মধ্যে এর আগে সই হওয়া ৫টি সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনা হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে কৃষিজ পণ্য, খাদ্য সামগ্রীবিষয়ক বাণিজ্য।
নেপালি দলের নেতৃত্ব দেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নবরাজ ধাকাল, বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য সচিব শরিফা খান। দুই পক্ষ বাণিজ্য আলোচনার সময় সমঝোতা স্মারকে সই করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারিগরি কমিটির সিদ্ধান্তগুলো উচ্চতর সরকারি পর্যায়ে অনুমোদন হওয়ার পরপরই সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন