পরিমাপে কারচুপি : ৯ পেট্রল পাম্পের বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিমাপে কারচুপির অপরাধে ৯টি পেট্রল পাম্পসহ ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)। ঢাকা মহানগরীর তেজগাঁও, মিরপুর, উত্তরা, গাজীপুর, গাবতলী ও আমিনবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা দেয়া হয়। মঙ্গলবার বিএসটিআই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর মধ্যে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পরিমাপে কারচুপির অপরাধে তেজগাঁও, আমিনবাজার ও গাবতলী এলাকায় তিনটি পেট্রল পাম্পের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে বিএসটিআই।
এই তিন পেট্রল পাম্প হলো- তেজগাঁও এলাকার মেসার্স সততা অ্যান্ড কোং একটি অকটেন ও দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৬০, ৭০ ও ৬০ মিলি লিটার কম প্রদান করায় এবং আমিনবাজার এলাকার মেসার্স চিস্তিয়া ফিলিং স্টেশনের তিনটি ডিজেল ও একটি অকটেন আন্ডার গ্রাউন্ড স্টোরেজ ট্যাংকের হালনাগাদ ক্যালিব্রেশন চার্ট না থাকায় এবং গাবতলী এলাকার মেসার্স নূর ডিজেল পাম্প ফিলিং স্টেশনের নন স্ট্যান্ডার্ড/নন ম্যাট্রিক ক্যালিব্রেশন চার্টের ব্যবহার করায় প্রতিষ্ঠান তিনটির প্রত্যেকটিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়।
এদিকে গত ২০ অক্টোবর মিরপুর এলাকার মেসার্স রহমান সার্ভিস স্টেশন দুইটি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৯০ মিলি লিটার ও ১১০ মিলি লিটার কম প্রদান করায় এবং মেসার্স পূর্বাচল গ্যাস ফিলিং অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে গ্রহণযোগ্য মাত্রার অতিরিক্ত ৪৪০ মিলি লিটার বেশি প্রদান করায় এ দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এ ছাড়া একই অভিযানে মেসার্স আল মোসাফির ভেরিফিকেশন সনদগ্রহণ ব্যতীত ডিজিটাল স্কেল ব্যবহার করায় প্রতিষ্ঠান তিনটির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
অপরদিকে গত ২১ অক্টোবর উত্তরা ও গাজীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে বিএসটিআই। অভিযুক্ত চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উত্তরা আব্দুল্লাপুর এলাকার মেসার্স তাসিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন একটি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৫০ মিলি লিটার কম প্রদান করায় এবং গাজীপুর এলাকার মেসার্স স্টার ফিলিং স্টেশন পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৪০ মিলি লিটার, ৫০ মিলি লিটার ও ৫০ মিলি লিটার কম প্রদান, একটি পেট্রল, অকটেন ও ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিট সিলবিহীন অবস্থায় ব্যবহার ও চারটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিট সিল ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়।
একই এলাকার মেসার্স রাজ ফিলিং স্টেশন ডিজেল ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ১৩০ মিলি লিটার বেশি প্রদান করায় এবং মেসার্স আহম্মেদ ফিলিং অ্যান্ড সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনের হাইটেক ব্র্যান্ডের চারটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিট সিলবিহীন অবস্থায় ব্যবহার, দুটি স্টোরেজ ট্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ চার্ট ব্যবহার করায় প্রতিষ্ঠান চারটির বিরুদ্ধে ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন-২০১৮ অনুযায়ী মামলা করা হয়।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন