কর্মকতা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ আমলে নিল দুদক
নিউজ ডেস্ক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে মঙ্গলবার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ অনুসরণে ‘অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির’ এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে ৮টি অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনিক অনুসন্ধান/তদন্ত/বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক আইনি ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে কেউ কোনো প্রকার দুর্নীতি বা অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন কিনা কিংবা কোনো ব্যক্তিকে অযথা হয়রারি করেছেন কিনা বা ক্ষমতার অপব্যবহারসহ অন্য কোনো অপরাধ করছেন কিনা -এ জাতীয় বেশ কয়েকটি অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী কমিশন প্রদত্ত আইন ও বিধিমালার আওতায় ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকেন। তাদের কেউ যদি এ ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি, নির্ধারিত সময়ে অনুসন্ধান বা তদন্তকার্য সম্পন্ন না করে কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে হয়রানি করেন তাহলে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। যারা কমিশন প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন, তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
অন্যদিকে দুদক প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ কোর্সে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমনের জন্য গঠিত প্রতিষ্ঠান। দেশের উন্নয়নে সবাই প্রতিষ্ঠানটিকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চায়। আর এ জাতীয় প্রতিষ্ঠান তখনই শক্তিশালী হয়, যখন প্রতিষ্ঠানের কমর্কতা-কর্মচারীদের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সর্বোচ্চ চারিত্রিক দৃঢ়তা থাকে।
কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতার দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্তের গোপনীয় তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। তথ্য পাচারের মতো অনৈতিক কাজে কেউ জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দুদকের কাজকর্ম যথাযথভাবে সময়মত সম্পন্ন করার জন্য যে সকল পদ্ধতিগত সংস্কার করা হয়েছে বা হবে সেগুলো আমলে নিয়ে আপনারা সব কাজ সম্পন্ন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন