দুদকে যুক্ত হচ্ছে ২০ আর্মড পুলিশ
সাস নিউজ ২৪ ডট কম : গ্রেফতার অভিযান জোড়দার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিগগিরই যুক্ত হচ্ছে সশস্ত্র আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এবিপি)।
জরুরি প্রয়োজন মিটাতে ২০ সদস্যের পুলিশের ওই বিশেষ ইউনিট আনা হচ্ছে। দুদকের উর্ধ্বতন একটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
যদিও আধুনিক সংস্থা হিসেবে গড় তুলতে শক্তিশালী সশস্ত্র ইউনিট যুক্ত করতে কমিশন থেকে এর আগেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুদকের নিজস্ব সশস্ত্র ইউনিট গঠনে অনেক সময় লাগতে পারে। এজন্য যতদিন না ওই ইউনিট গঠিত হচ্ছে ততদিন ওই আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন দুদকের নিরাপত্তা ও আসামি ধরতে সহযোগিতা করবে।
এ বিষয়ে দুদকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দুদকে স্থায়ীভাবে সশস্ত্র ইউনিট যোগ করতে এরই মধ্যে প্রস্তাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়নে বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই যতদিন পর্য্ন্ত দুদকের নিজস্ব সশস্ত্র ইউনিট না হচ্ছে ততদিন পর্য্ন্ত পুলিশের ২০ সদস্যের দলটি দুদকের সঙ্গে কাজ করবে। আর এজন্য দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি চলতি মাসেই এর একটি পজেটিভ ফলাফল পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে দুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়টি আমাদের চিন্তাভাবনার মধ্যে রয়েছে। তবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা দুদকের নিজস্ব সশস্ত্র ইউনিট গঠনের বিষয়ে বেশি জোড় দিচ্ছি।
এর আগে সশস্ত্র ইউনিট গঠন ও নিজস্ব হাজতখানা তৈরির অনুমোদন পেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অপরাধীর অবস্থান শনাক্তকরণে মোবাইল ট্র্যাকিং মেশিন সংগ্রহে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের পক্ষ থেকে ২০১৬ সালের শেষের দিকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
স্বাধীন কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজকে অধিক গতিশীল এবং পুলিশের ওপর অধিক মাত্রায় নির্ভরশীলনতা হ্রাস করতেই দুদক থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়।
দুদক সূত্র জানায়, দুদকের আসামি ধরতে দিনে কিংবা রাতে সব সময়েই অভিযান চালাতে হয়। এজন্য কমিশনের কর্মকর্তারা সব সময় পুলিশের সাহায্য নিয়ে থাকেন। অনেক সময় এ কাজে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করতে গিয়ে নানা জটিলতার কারণে গ্রেফতার অভিযান ব্যর্থ হয়।
অন্যদিকে গ্রেফতার করা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুদকে আনা হয়। কিন্তু দুদকের নিজস্ব হাজতখানা না থাকায় ওই আসামিদের কর্মকর্তাদের কক্ষে বসেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়। যা নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকি। এসব বিবেচনায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান দুদকের গতিশীলতা বৃদ্ধি করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু বাজেটসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। যদিও পরবর্তীতে বদিউজ্জামান কমিশন ওই উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে গোলাম রহমানের ওই পদক্ষেপ অন্ধকারেই থেকে যায়।
এছাড়া সম্প্রতি দুদকের কর্মকর্তা পর্যায়ে অস্ত্র দেওয়ার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুদক কর্মকর্তাদের অস্ত্র চালানোর জন্য বিশেষ কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এ ছাড়া রয়েছে অস্ত্র ও গুলি সংরক্ষণের প্রশ্ন। এসব বিবেচনায় পরবর্তীকালে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কমিশন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন