‘হিন্দুদের উদ্ভট দাবি প্রত্যাখ্যান ও শিক্ষানীতি শিক্ষা আইন বাতিল করতে হবে’ -ওলামা লীগ
সাস নিউজ২৪ ডট কম : আসন্ন পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করা, হিন্দুদের দুর্গাপূজায় ৩ দিনের ছুটির দাবি ৬০ সংরক্ষিত আসন ও পৃথক হিন্দু মন্ত্রণালয়ের দাবি প্রত্যাখ্যানসহ ১০ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে আওয়ামী ওলামা লীগ সহ ১৩ টি ইসলামী সমমনা সংগঠন। গতকাল শনিবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানায়। মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মাসব্যাপী রাষ্টীয়ভাবে ব্যাপক সমারোহে খ্রিষ্টমাস ডে পালন করে। তাহলে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলমানদের জন্য কতটুকু জাঁকজমকের সাথে পালন করতে হবে তা রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সরকারকে ভাবতে হবে এবং দায়সর্বস্ব উদ্যোগ না নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
তারা বলেন, সরকারের উচিত- এ দিন ও মাসের সম্মানে ১২ রবিউল আউয়াল শরীফসহ ১লা রবিউল আউয়াল থেকে ১৫ রবিউল আউয়াল মোট ১৫ দিন রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ আয়োজনে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা। ২১শে ফেব্রুয়ারী আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসের মতো ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফে বিশ্ব ছুটি আদায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা।
বক্তারা বলেন, এদেশে যেখানে সাম্প্রদায়িকতার কোন অস্তিত্ব ছিলনা সেখানে এখন উগ্র হিন্দু মৌলবাদী সংগঠনগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এদের প্রতি অতি নমনীয়তা ও মাত্রাতিরিক্ত পৃষ্ঠপোষকতা সরকারের জন্য কাল হয়ে দাড়াচ্ছে। এটা অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের বাহির সিগনাল এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা অফিস পুড়ানো ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমমাননাকারী উগ্র হিন্দুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বক্তারা বলেন, হিন্দু মানেই যে আওয়ামীলীগ বান্ধব নয় এর যথেষ্ট ও যুক্তিসঙ্গত রয়েছে। কারণ গয়েশ্বর ও নিতাই মার্কা জামাত জোটের এজেন্ট তথা উগ্রবাদী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক হিন্দুদের মধ্যে যেমন বিএনপি সমর্থক রয়েছে আবার যুদ্ধাপরাধী জামাত সমর্থকও রয়েছে। কেননা বিএনপিতে গয়েশ্বর ও নিতাই মার্কা হিন্দুরা ভরপুর রয়েছে। তারা সরকার বিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত। সুতরাং হিন্দু মানেই আওয়ামীপন্থী সেই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বরং সাঈদী ওরফে ইহুদী সমর্থিত যে হিন্দু জামাতে ইসলাম কর্মী রয়েছে তাদের প্রত্যেককে শনাক্ত করে প্রতিহত করতে হবে।
বক্তারা বলেন, গয়েশ্বর মার্কা হিন্দু তথা জামাত-জোট এজেন্ট মৌলবাদী, উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক হিন্দুরা দুর্গা পূজাসহ বিভিন্ন পূজা আসলে গয়েশ্বর ও নিতাই মার্কা উগ্র ও মৌলবাদী হিন্দুরা নিজেরা মন্দির ভেঙ্গে মুসলমানদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্ঠা করে। তাই আসন্ন দুর্গাপূজায় সরকারের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি নষ্ট করার হীন উদ্দেশ্য পরিকল্পিতভাবে নিজেরাই পূজামন্ডপে হামলা করে স্যাবোটাজ করতে পারে। এজন্য সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তায় বা উন্মুক্ত স্থানে পূজার ব্যবস্থা না করে মন্দিরেই পূজার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এসময় তারা বিভিন্ন স্যাবোটাজের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, দুই ঈদ উপলক্ষে ভারতের অনেক প্রদেশে মুসলমানরা ছুটি পায়না। কুরবানী করতে পারেনা। অনেক প্রদেশে মসজিদ মাদরাসা বানাতে পারেনা, প্রকাশ্যে আযান দিতে পারেনা মুসলমানরা। সেখানে বাংলাদেশে স্বর্গে বাসকারী হিন্দুরা দুর্গাপূজায় জাতীয়ভাবে সারাদেশে ছুটি ভোগ করে থাকে। অথচ ভারতেও তারা তিনদিন ছুটি পায়না। দুর্গাপূজাকে দুশেরা উল্লেখ করে ভারত রাষ্ট্রীয়ভাবে গেজেটেড ছুটি দেয় ১ দিন। তাহলে বাংলাদেশে হিন্দুরা কিভাবে উস্কানীমূলকভাবে ৩ দিনের উদ্ভট ছুটি দাবি করতে পারে?
বক্তারা বলেন, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ভারতের ৪০ ভাগ মুসলমানরা সমপরিমাণ সংসদীয় আসন পাওয়ার কথা। কিন্তু ৪০ ভাগ দূরের কথা কোন সংরক্ষিত আসনই পায়না মুসলমানরা। তাহলে বাংলাদেশে কিভাবে হিন্দুদের ৬০টি সংরক্ষিত আসনের দাবি তুলতে পারে এবং পৃথক হিন্দু মন্ত্রণালয় চাইতে পারে? অথচ বাংলাদেশে কোনো মুসলিম মন্ত্রণালয় নাই। এসব আজগুবী ও উদ্ভট দাবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মূলত এগুলো জামাত-জোট এজেণ্ট গয়েশ্বর ও নিতাই মার্কা নিম্নবর্ণের উগ্রবাদী হিন্দুদের ষড়যন্ত্র। বর্তমান উন্নয়নের সরকারকে বেকায়দায় ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র রুখতে সরকার ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, প্রবল আপত্তি আর তীব্র প্রতিবাদ উপেক্ষা করে কুফরী শিক্ষানীতি এবং হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যসূচী কোনরুপ সংশোধন না করেই বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রী এখন শিক্ষা আইনও চূড়ান্ত করার কাজ দ্রুত চালিয়ে যাচ্ছে। যা মুসলমানদের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। কারণ যদি এ কুফরী শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন মুসলিম জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় তাহলে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় অধিকার হারাবে। মুসলমানরা স্বকীয় বৈশিষ্ট হারিয়ে নাস্তিক্যবাদী চেতনায় গড়ে উঠবে। যা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ চক্রান্ত।
বক্তারা বলেন, ইসলাম ধর্মের প্রতি যাদের কোন আস্থা বা বিশ্বাস নেই বরং ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী এমন সব বামপন্থী ব্যক্তিদের মাধ্যমে নাস্তিক্যবাদী কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টকে ভিত্তি ধরে প্রণীত শিক্ষানীতি মুসলমানদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। এদেশকে নাস্তিক্যবাদী দেশ বানাতে এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রী আওয়ামী লীগের ঘাড়ে চেপে তার নাস্তিক্যবাদী চেতনা বাস্তবায়নে ইসলাম বিরোধী শিক্ষানীতি সরকারের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন।
বক্তারা আরো বলেন, প্রবল আপত্তি আর তীব্র প্রতিবাদ উপেক্ষা করে কুফরী শিক্ষানীতি এবং হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যসূচী কোনরুপ সংশোধন না করেই বামপন্থী নাহিদ এখন শিক্ষা আইনও চূড়ান্ত করার কাজ দ্রুত চালিয়ে যাচ্ছেন। যা এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগণের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ যদি এ কুফরী শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন মুসলিম জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় তাহলে মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় অধিকার হারাবে। মুসলমানরা স্বকীয় বৈশিষ্ট হারিয়ে নাস্তিক্যবাদী চেতনায় গড়ে উঠবে। যা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ চক্রান্ত।
তারা বলেন, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের ধারা- ৭ এর (১), (২), ও (৩) অনুযায়ী, সাধারণ বিষয়ের একই পাঠ্যবই মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানো হলে হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত মাদরাসা শিক্ষা তার স্বাতন্ত্র্য হারাবে। অর্থাৎ স্কুল ও মাদরাসা শিক্ষার মধ্যে শুধু নামের পার্থক্য ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।
বক্তারা বলেন, আইনের ধারা- ৭ এর (১১) অনুযায়ী, সরকার নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের মাধ্যমে শ্রেণী ও বিষয়ভিত্তিক পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করবে এবং তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ নিশ্চিত করবে। এর বাইরে অন্যকোন পুস্তক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পাঠ্যসূচিতে অর্ন্তভুক্ত করা যাবে না। এ বিধান লংঘন করলেও শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে মাদরাসাগুলোতে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফসহ ইসলামী মূলধারার বই পড়ানো দন্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।তাই অবিলম্বে ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসলামী শিক্ষা সংকোচনকারী শিক্ষানীতি-২০১০ এবং শিক্ষা আইন-২০১৬ বাতিল করতে হবে। শিক্ষানীতি-২০১০ এবং শিক্ষা আইন-২০১৬ বাতিল কোনমতে জাতীয় সংসদে পাশ করা যাবেনা। নাস্তিক্য ও হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যসূচি সংস্কার না করে নতুন বই ছাপানো যাবে না।
শিক্ষা আইন প্রসঙ্গে বক্তারা আরো বলেন, আইনের ধারা- ১৩ অনুযায়ী, ইবতেদায়ী মাদরাসাসহ প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নির্বাচনের জন্য স্থায়ী বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। তারা শিক্ষক নির্বাচন করে সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। এ ধারা মাধ্যমে মাদরাসায় আলেম নিয়োগের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। এ ধারার মাধ্যমে বেআমল ও দলীয় লোকের নিয়োগ করে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, আইনের ধারা- ২০ (খ) (২) অনুযায়ী, দাখিল ও আলিম পর্যায়ে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ গণিত, বাংলাদেশ স্টাডিজ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ পরিবেশ পরিচিতি এবং বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়সমূহ বাধ্যতামূলক হবে। সাধারণ বিষয়ে মাদরাসাগুলোতে ৭টি বিষয়ই বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে। এতোগুলো বিষয় বাধ্যতামূলক করে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীস শরীফ, আরবী, ফারসি, উর্দু বিষয়ের অন্যান্য বিষয়গুলো পড়ার সুযোগ কমিয়ে দিয়ে মাদরাসা শিক্ষা ধ্বংসের চূড়ান্ত আয়োজন করা হয়েছে। এতে আলেম তৈরী না হয়ে ফাসিক-ফুজ্জার বের হওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, ধারা- ২২ (৩), (৪),(৫) অনুযায়ী, সরকারের অনুমতি ব্যতীত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা/ স্থাপন করা যাবে না। একইভাবে ৪০নং ধারার (২), (৩), (৪) উপধারায় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে এ আইনের প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। এ আইন লংঘনের জন্য তিন লাখ টাকা জরিমানা এবং ছয় মাসের কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, এ আইনের মাধ্যমে বিভিন্ন দানশীল ব্যক্তিদের দানে মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করা হয়েছে। কারণ দেশের অধিকাংশ মাদরাসাই ব্যক্তিগত বা সম্মিলিত উদ্যোগে দানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত। এ আইনের ফলে দেশের ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনে আর কেউ মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করতে পারবেনা। কারণ সরকারী অনুমোদনের ঝুট-ঝামেলায় গিয়ে কেউ মাদরাসা করতে এগিয়ে আসতে চাইবেনা। অনুমোদনের ক্ষেত্রে দাতার সম্পদের হিসাব-নিকাশ, ইনকামট্যাক্সসহ বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা আরোপ করে মাদরাসা প্রতিষ্ঠাকে নিরুৎসাহিত করা এবংবর্তমান লাখ লাখ মাদরাসাকে সরকারী অনুমোদন বাধ্যতামূলক করাও অমূলক নয়। অন্যথায় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
বক্তারা বলেন, ভারতীয় টিভি-চ্যানেল আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে করেছে ক্ষত-বিক্ষত, চারিত্রিক অবক্ষয়ের যাঁতাকলে আটকে যাচ্ছে আমাদের সম্ভাবনাময়ী যুব সমাজ, মুসলিম জাতিগুলো আজ নামসর্বস্ব জাতিতে পরিণত হয়েছে। পরিবারের প্রতিটি সদস্যের মাঝে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, মহব্বতের সম্পর্ক, আমাদের পরিবার প্রথা, আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সুক্ষ্মভাবে ভেঙ্গে দিচ্ছে টিভি সিরিয়াল ও টিভি চ্যানেলগুলো। তাই বাংলাদেশে সব ভারতীয় সব টিভি চ্যানেল ও পর্ণ সাইট বন্ধ করতে হবে।
নদীতে প্রতিমা বিসর্জন বক্তারা বলেন, নদী দূষণ বন্ধে ভারতীয় হাইকোর্টের নির্দেশে নদীতে প্রতিমা বিসর্জন নিষিদ্ধ। ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট গঙ্গা-যমুনা নদীতে প্রতিমা বিসর্জন নিষিদ্ধ করেছে। নদী দূষণ বন্ধে বাংলাদেশেও নদীতে প্রতিমা বিসর্জনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। আমাদের দেশে লাখ লাখ প্রতিমা নদীতে নিক্ষেপ করা হয়। এতে নদী দূষণের পাশাপাশি মারাত্মক পরিবেশেরও দূষণ ঘটে। বাংলাদেশের উচিত ভারতের হাইকোর্টের দৃষ্টান্ত এদেশে বাস্তবায়ন করা।
বক্তারা বলেন, পবিত্র মুহররম মাসের দশ তারিখ অর্থাৎ ১০ই মুহররম “আশূরা” দিনটি বিশ্বব্যাপী এক আলোচিত দিন। এ দিনটি সবার জন্য এক মহান আনুষ্ঠানিকতা বা আমলের দিন। তাই সারাদেশে ব্যাপক সমারোহে সব স্কুল কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারী-বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠানে পবিত্র আশুরা শরীফ পালনের ব্যবস্থা নিতে হবে পাশপাশি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফযীলত ও মর্যাদা সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে ৩ দিন ছুটি দিতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পীরজাদা, পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান বিপ্লবী জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, (পীর সাহেব, টাঙ্গাইল), সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সভাপতি- সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, আলহাজ্জ মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী-সভাপতি-বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশন। মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, মাওলানা আব্দুস সুবহান, ডা. সাইফুদ্দীন মিয়াজি প্রমুখ।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন