আখেরী রসুলের জীবনী বাদ দিয়ে পাঠ্যপুস্তকে নাস্তিকদের লেখা কেন? -ইসলামী ছাত্র ঐক্য
আখেরী রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী বাদ দিয়ে কেন নাস্তিকদের লেখা পাঠ্যপুস্তকে দেয়া হয়েছে, এমন প্রশ্ন রেখেছে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের মানববন্ধন থেকে এ প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। শিক্ষানীতি ২০১০, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন ২০১৬ এবং পাঠ্যসূচি সংশোধনের দাবি জানিয়ে এ মানববন্ধন করা হয়।
এতে বক্তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, “কেন মুসলমানদের প্রাণের স্পন্দন মুহাম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর জীবনী বাদ দেয়া হবে? কেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ধর্মীয় নেতা হযরত আবুবকর ও ওমরের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাদের জীবনী বাদ দেয়া হবে? কেন মুসলমানদের সিলেবাসে হিন্দু ও নাস্তিক লেখকদের লেখার সয়লাব ঘটাতে হবে।”
তারা বলেন, “মুসলমান শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় ভাবাদর্শে তৈরি সিলেবাস পড়বে এটাই স্বাভাবিক। বিগত সময়ের সিলেবাসে দেশের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটেছে। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীদের জন্য যে সিলেবাস প্রণয়ন করা হচ্ছে তা থেকে বিধর্মীদের সংস্কৃতির প্রতি মুসলামান শিক্ষর্থীরা ঝুঁকে যাবে।”
তারা প্রশ্ন রাখেন, “আগের সিলেবাস পড়ে দেশে অনেক ডাক্তার প্রকৌশলী, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, প্রযুক্তিবিদ হয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করে সিলেবাসে এই পরিবর্তন কেন?”
বর্তমান পাঠ্যসূচিতে থাকা ‘হিন্দু ও নাস্তিক’ লেখকদের ইসলামবিরোধী লেখা বাদ দিয়ে ইসলামী শিক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুর রহীম সাঈদ, সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের মুখপাত্র ও ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন খান, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম আল-আমীন, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ প্রমুখ।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন