সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি: একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে শিশু পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঠিক যে স্থানটিতে দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক ভাষণটি দিয়েছিলেন, সে স্থানটি নির্ধারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
এছাড়াও ভাষণের স্থানটিতে মূল মঞ্চের আদলে কাঠোমো ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রুল দেয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য সচিব ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিবাদীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন চার স্থপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুম, বাকিউজ্জামান, বিধান কুমার সাহা ও ফাল্গুনী মল্লিক।
রোববার আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহসিন রশীদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী লুৎফুন কাদির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
মহসিন রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, “বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়েই মূলত আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। সে ভাষণটি আজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি-মর্যাদা পেলেও ভাষণের সেই ঐতিহাসিক স্থানটি সংরক্ষণ তো দূরে থাক সঠিকভাবে চিহ্নিতই করা হয়নি। এমন একটি ঐতিহাসিক স্থানে সে ইতিহাসের কোনো চিহ্নই নেই। তাই বঙ্গবন্ধু এবং ইতিহাসকে তুলে ধরার জন্যই এ রিট আবেদন।”
৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা, যে মঞ্চে বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই মঞ্চে তার ভাস্কর্য নির্মাণ করাসহ কয়েকটি বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের শেষ দিকে একটি রিট আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ।
এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত গত ২০ নভেম্বর রুল দেয়। তাতে ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন