৪ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই
নিজস্ব প্রতিবেদক: বড় পতনের মধ্য দিয়ে আরও একটি সপ্তাহ পার করেছে শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই বড় পতন হয়েছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবকটি মূল্য সূচক ও লেনদেন কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। এতে চার হাজার কোটি টাকার ওপরে মূলধন হারিয়েছে ডিএসই।
বড় অঙ্কের বাজার মূলধন হারানোর সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১১১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২০৮টির। আর ১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহের পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন ১২ হাজার কোটি টাকা কমেছে।
এদিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৭.৬১ পয়েন্ট বা ১.৮৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১৫৬.৮৯ পয়েন্ট বা ৩.৩৬ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৬০.১০ পয়েন্ট বা ১.২৭ শতাংশ। অর্থাৎ তিন সপ্তাহের টানা পতনে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক হারালো প্রায় তিনশ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি বড় পতন হয়েছে অপর দুটি সূচকের। এর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ১৯.১১ পয়েন্ট বা ১.৮৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৩৯.২৫ পয়েন্ট বা ৩.৭২ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ২৬.৩২ পয়েন্ট বা ২.৪৩ শতাংশ।
আর ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ৩৪.৬৫ পয়েন্ট বা ২.২৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৫৭.৭০ পয়েন্ট বা ৩.৫৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৪১.৮৯ পয়েন্ট বা ২.৫৪ শতাংশ।
সবকটি সূচকের এমন বড় পতনের মধ্যে ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ দুইশ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৭৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৩১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৩৫ কোটি ৬ লাখ টাকা বা ১১.১৪ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১১৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ১ হাজার ৫৭৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৪৫৫ কোটি ৬ লাখ টাকা বা ২৮.৯১ শতাংশ।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন