১৯ বছরেও গতিহীন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০০১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সিলেটে নির্বাচনি জনসভার দিন হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল হুজি। কিন্তু ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে জনসভাস্থল আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের পাশ্ববর্তী এলাকা ফাজিলচিশতে ডা.আরিফ আহমদ রিফার বাসায় বোমা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হয় দুই সন্ত্রাসী। এরপর প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়। আলোচিত এ মামলার ১৯ বছর পূর্ণ হলেও এখনও শেষ হয়নি মামলাটি। সিলেটের অপরাধ দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যালে এখনও সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত এই মামলায় ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত। জননিরাপত্তা আদালতে মামলাটি ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারিতে আসে। এ মামলার অন্যতম আসামি সন্ত্রাসী মুফতে হান্নান ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ৪ মার্চ হোটেল আল আকসার কর্মচারী সেলিম ঘটনার বিস্তর বর্ণনা দিয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন। এই মামলায় উল্লেখযোগ্য সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল (কোতোয়ালি থানার সাবেক এসআই) ও অভিযোগপত্র দাখিলকারী সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক সিলেট ক্যাম্পের সাবেক পুলিশ পরিদর্শক প্রণব। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ এ বছরের ১০ নভেম্বর। ওইদিন আদালতে সাাক্ষ্য দেবেন মিজানুর রহমান ও সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. কামাল পারভেজসহ ৩ জন।
জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মফুর আলী বলেন, সাক্ষীদের কারণে আলোচিত এই মামলাটি অনেকটা গতিহীন। আদালত থেকে সাক্ষীদের প্রতি সমন, ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হলেও তেমন কোন গতি নেই। যারা এসব কাজে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখবেন তারাই অনেক ক্ষেত্রে নীরব রয়েছেন। পুরনো মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হলে আদালতের কার্যক্রম আরও গতি পাবে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন