হামাসের সঙ্গে যোগসুত্র, সৌদি আদালতে ৬০ ফিলিস্তিনি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে বিচারের সম্মুখীন করেছে সৌদি আরব। ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাস সমর্থিত এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে আদালতে তুলেছে।
আলজাজিরা জানায়, গত রোববার ৬৮ জন ফিলিস্তিনি এবং জর্ডানের নাগরিককে রিয়াদের সন্ত্রাসবাদবিরোধী একটি বিশেষ আদালতে বিচারের সম্মুখীন করা হয়। অভিযুক্তদের স্বজনদের দাবি, আদালতে কোনো ধরনের প্রতিনিধি তাদের পক্ষে দেয়া হয়নি। গত বছরের এপ্রিলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে সৌদি গোয়েন্দা পুলিশ।
আটককৃতদের একজন ৮১ বছর বয়সী মোহাম্মদ আল-খুদারি, এই ফিলিস্তিনি নাগরিক দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে বসবাস করে আসছিলেন। আল খাদারির ছেলে হানিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একটি সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষক। খুদারির ছেলে সৌদি আরবে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকা-ে জড়িত ছিলেন না বলে গাজা থেকে দাবি করে তার পরিবার।
আল-খুদারি কয়েক দশক ধরে সৌদি আরবে হামাসের একজন সরকারি প্রতিনিধি ছিলেন। সালমানের কর্তৃত্বে বর্তমান সৌদি শাসনের সঙ্গে কুখ্যাত ইহুদীবাদী ইসরায়েলের সুসম্পর্ক তৈরি হলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন আল-খুদারি।
এদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে জানায়, গাজার সরকার হামাসের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগে সৌদি আরবে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে এই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি জানায়, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এই অভিযান শুরু করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এতে অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা সৌদি আরবে বসবাস করছিলেন বা সেখানে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষক ও ব্যবসায়ী।
এদিকে গত সোমবার হামাস এক বিবৃতিতে দাবি করে, এসব ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব মিথ্যা অভিযোগ এনেছে এবং অন্যায্যভাবে তাদের আদালতে তোলা হয়েছে। তারা জানায়, ‘সৌদি রাষ্ট্রীয় পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃত ফিলিস্তিনিদের কোনো অভিযোগ নেই, জেরুজালেম এবং আল-আকসা মসজিদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ছাড়া।’
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন