সড়ক সংস্কারের নামে তামাশাঃ’অহন তো লেপ দিয়া নিছেগা কোটি টেহা’
নিউজ ডেস্ক : ‘ভাঙ্গাচোরা আছিন, ভালা আছিন। অহন তো চোরের দল লেপ দিয়া নিছে গা কোটি টেহা। টান দিলেই উইঠ্যা যায় পিস পাথর (কার্পেটিং)। বড় বড় সলডা (কার্পেটিং) হাতে নিয়া পোলাপাইন খেলা করে। এইডা কিরহম কাম, এর কি কোনো বিচার নাই- ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বটতলা থেকে সিডস্টোর বাজার পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম দেখে এভাবে এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন কথাগুলো বলেন।
বহুল প্রতীক্ষিত রাস্তার কাজের এই মান নিয়ে এলাকার মানুষ ছাড়াও স্থানীয় সাংসদ ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেছেন। আজ শুক্রবার দ্বিতীয়বারের মতো এলাকবাসী কাজে বাধা ছাড়াও বিক্ষোভ করেছে। সড়কটির একদিকে নির্মাণ চলছে অন্যদিকে খেলার ছলে ছোট ছোট শিশুরা পা দিয়ে গুঁতো এমনকি হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে আসছে কার্পেটিং। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে এলাকার লোকজন ঠিকাদারের লোকজন কর্তৃক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। বলা হচ্ছে চাঁদা নেওয়ায় একটি চক্র এ ধরনের প্রতিবাদ করছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে মাহমুদুল হাসান সজীব নামে ঠিকাদার ২০১৮ সালে ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দের কার্যাদেশ পান। কিন্তু দীর্ঘদিন কাজটি না করে চলতি বর্ষা মৌসুমে জুন মাস (জুন ফাইনাল) সামনে রেখে তড়িঘড়ি কাজটি করে ফেলার চেষ্টা চালায়। এ অবস্থায় অনবরত বৃষ্টির মধ্যে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নামকাওয়াস্তে কাজটি সম্পন্ন করতে চায়। এর মধ্যে ব্যাপক অনিয়ম দৃশ্যমান হওয়ায় প্রতিবাদ করে এলাকার লোকজন। তারা কাজে বাধা দিলেও গায়েরজোরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার।
কাজটি তদারকির দায়িত্বে আছেন নান্দাইল উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনেক দিন আগের রাস্তা তো। আমার কাছে এর কোনো তথ্য নেই। কত টাকার কাজ কেই-বা ঠিকাদার জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ। ফাইল দেখে বলতে হবে।
ঠিকাদার সজীব সাংবাদিকদের বলেন, পারিবারিক ঝামেলার কারণে এতদিন কাজটি করা হয়নি। তা ছাড়া বৃষ্টি থাকায় থেমে থেমে করা হচ্ছে। তারপরও সকল কিছুই করা হচ্ছে এলজিইডির লোকজনের পরামর্শে। এখানে আমার অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। কাজের মান তাঁরাই ভালো বুঝেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন