সেচ দেখতে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাব
নিউজ ডেস্ক: মুজিববর্ষকে সামনে রেখে মুজিবনগরের সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) থেকে ২৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের বেশকিছু খাতে অস্বাভাবিক ব্যয় বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় ২৪ জন কর্মকর্তা ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদেশ ভ্রমণ করবেন, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন। এছাড়া অন্য খাতের অস্বাভাবিক ব্যয় কমিয়ে আনারও নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মজিবনগর সেচ উন্নয়ন’ শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় খাল খনন ও পুনরুদ্ধার করা হবে। এতে স্থানীয় কৃষকের চাষাবাদে ভূ-উপরিস্থ পানিনির্ভর সেচ সুবিধা বাড়ানো হবে। এতে ব্যয় হবে ২৫৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। চলতি বছর জুন থেকে ২০২৪ সাল জুন নাগাদ এটি বাস্তবায়ন করবে বিএডিসি।
বিদেশ সফর বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ভ্রমণ বাবদ মোটা অঙ্কের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ২৪ জন কর্মকর্তা এ অর্থ দিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করবেন বলে ডিপিপিতে বলা হয়েছে। পিইসি সভায় এর কোন কোন দেশ কেন ভ্রমণ করবে, তা জানতে চাওয়া হবে। এছাড়া অন্যান্য আরো কয়েকটি বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বিএডিসর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছে, বিদেশ ভ্রমণের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়। প্রকল্প পাস হওয়ার পর অগ্রাধিকার বিবেচনা করে দেশ ঠিক করা হবে। তবে একবারে এসব কর্মকর্তা বিদেশ যাবেন না, আটজনের মোট তিনটি দল ধাপে ধাপে যাবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা এই দলে থাকবেন বলে তিনি জানান। তবে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ প্রকল্পের আওতায় পরিবহন খাতে ব্যয় প্রায় ৪ কোটি টাকা, ভ্রমণভাতা ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, তেল বা জ্বালানি খরচ ১ কোটি ২৫ লাখ প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের টাকায় অফিস ভবন মেরামতে ৩ কোটি টাকা, আবাসিক ভবন মেরামতে ৫০ লাখ টাকা, সেচ নিষ্কাশন অবকাঠামো উন্নয়নে দেড় কোটি টাকা, বিদ্যুৎ স্থাপনা মেরামতে ৫ লাখ, পাম্প মোটর সেচের যন্ত্রাংশ ক্রয়ে দেড় কোটি, পাম্প হাউজ নির্মাণে ১ কোটি ৬৫ লাখ, বনায়ন খাতে ৫ কোটি, নিরাপত্তা সেবায় ৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন বলছে, বিদেশ ভ্রমণসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হবে। অনেক ক্ষেত্রেই মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন