সুনীল অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সম্ভার সমুদ্র
নিজস্ব প্রতিবেদক: সুনীল অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সম্ভার সমুদ্র। অর্থনীতি বিকাশে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত ‘উপকূলীয় মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা: সুনীল অর্থনীতি ও রূপকল্প-২০৪১ প্রেক্ষিত’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, রূপকল্প-২০৪১ হচ্ছে সুখী, সমৃদ্ধ, আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করা। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে পারলে বাংলাদেশ উন্নত হবে।
অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে হলে আমাদের অর্থনীতিকে জাগ্রত করতে হবে। অর্থনীতিকে জাগ্রত করতে আমাদের সম্পদ রপ্তানি করতে হবে। এজন্য সুনীল অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে হবে। সুনীল অর্থনীতিকে কার্যকর করতে হবে। এ কাজে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেস্ট ডিপ্লোমেসির মাধ্যমে প্রায় বাংলাদেশের সমপরিমাণ সমুদ্রসীমায় আমাদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সমুদ্র আমাদের সুনীল অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সম্ভার। সমুদ্রে থাকা জলজসম্পদ তথা প্রচলিত বা অপ্রচলিত মাছ, সিউইড সঠিকভাবে সংগ্রহ করতে পারলে এগুলো বহির্বিশ্বে রপ্তানিতে আমাদের সবচেয়ে বড় যোগান হবে। সুনীল অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে হলে প্রচলিত মৎস্য, অপ্রচলিত মৎস্য এবং সিউইডকে পরিচর্যা করে এ ক্ষেত্রকে উপযুক্ত করে নিয়ে আসতে হবে। সামুদ্রিক এ মৎস্যসম্পদ আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির যোগানের পাশাপাশি রপ্তানির মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরে দূরদৃষ্টি দিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। একটা সময় নানা কারণে দেশে মাছের সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। মাছ দুর্লভ হয়ে গিয়েছিল, হারিয়ে যাচ্ছিল। সে জায়গা থেকে গবেষণা ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে ৩১ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছ আমরা ফিরিয়ে এনেছি। সরকারের সঠিক ভূমিকা ও ব্যবস্থাপনার কারণে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় মাছ আহরণে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইলিশ ব্যবস্থাপনা ও গবেষণা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চল, পার্বত্য অঞ্চলসহ ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে স্থান উপযোগী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। মৎস্যখাতে রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
উপকূলীয় মৎস্যসম্পদ উন্নয়নের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হতে পারে, উদ্যোক্তা তৈরি হতে পারে, খাবারের বড় জোগান তৈরি হতে পারে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হতে পারে। এজন্য মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন