সীমান্তে বাংলাদেশের দিকে ভারি অস্ত্র তাক মিয়ানমারের
কক্সবাজার সংবাদদাতা: সীমান্তের ওপারে হঠাৎ অতিরিক্ত সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিজিপি মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। তাছাড়া তুমব্রু-বাইশফাঁড়ি সীমান্ত এলাকা জুড়ে স্থাপন করেছে বাঙ্কার ও নিরাপত্তার নামে অসংখ্য চৌকি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
তবে বিজিবি বলছে, আতঙ্কের কিছু নেই, সার্বক্ষণিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা প্রস্তুত রয়েছে।
সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু-ভাজাবনিয়া, মগপাড়া, বাইশফাঁড়ি সীমান্তের ওপারে বিশাল এলাকা জুড়ে অসংখ্য বাঙ্কার এবং নিরাপত্তার নামে চৌকি স্থাপন করেছে মিয়ানমার।
সীমান্তের দেড় শত গজের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তির ভারী অস্ত্র বাংলাদেশের দিকে তাক করে বসানো হয়েছে। রাতে মাঝে মাঝে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সীমান্তের ঘুমধুম ভাজাবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আলী হোসেন জানান, তিনি বোরো এবং মরিচ চাষ করেছেন সীমান্তের একদম কাছাকাছি স্থানে। তার মাত্র কয়েক ‘শ গজ অদুরে বাঙ্কার এবং চৌকি স্থাপন করেছে মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা। তিনি বলেন, রাতে তারা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকে। এতে তারা খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
তারা আরো জানায়, সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা, বিজিপি টহল লক্ষ করা যাচ্ছে গত সপ্তাহ থেকে। ভারী যুদ্ধযান নিয়ে প্রতিনিয়ত সীমান্তে যাতায়াত করছে মিয়ানমার বিজিপি ও সেনা সদস্যরা।
শূন্যরেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গারা জানান, সকাল থেকে ৭টি ট্রাকে করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা তুমব্রু সীমান্তের ওপারে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। সীমান্তের বেড়া বরাবর বাঙ্কার গুলোতেও অবস্থান নিয়েছে মিয়ানমার সেনারা। সেনাদের সঙ্গে তাদের সীমান্ত রক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরাও রয়েছে বলে তারা জানান।
তুমব্রু শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, আইসিজে রায়ে পর থেকে মিয়ানমার সেনারা সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় মর্টারসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। তাদের সঙ্গে বিজিপির সদস্যদেরও দেখা যাচ্ছে। এতে করে শূণ্য রেখার রোহিঙ্গারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
সীমান্তের এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, তুমব্রু সীমান্তে ৩৪ নং পিলার থেকে ৩৯নং পিলার পর্যন্ত বিশাল সীমান্ত এলাকা জুড়ে মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা বাঙ্কার খনন এবং চৌকি স্থাপন করেছে। তিনি আরো বলেন, গত ২৩ জানুয়ারী নেদারল্যাডন্সের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে)র রায়ের পর থেকে মিয়ানমার বর্ডার গাড অব পুলিশ (বিজিপি) বাঙ্কার এবং চৌকি স্থাপন করেছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন