সিরিয়ার আকাশে ইরানের যাত্রীবাহী প্লেন আটকাল মার্কিন যুদ্ধবিমান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার আকাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমানের পথ আটকাল আমেরিকার ফাইটার এয়ারক্র্যাফট এফ-১৫। বৃহস্পতিবার মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ড একটি বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানিয়েছে। এই ঘটনার পেছনে ইসরাইলের হাত রয়েছে বলে সরকারি সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছে ইরান প্রশাসন।
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা অভিযানের দায়িত্বে রয়েছে ইউএস সেন্ট্রাল কম্যান্ড। সেন্ট্রাল কমান্ড জানায়, ‘এফ-১৫ নিজের রুটিন এয়ার মিশনে ছিল। সেই সময় সিরিয়ার আকাশে অন্য একটি বিমান দেখে তার পথ আটকানো হয়। বিমানটি ছিল মাহান এয়ার প্যাসেঞ্জার এয়ারলাইনের। অন্তত ১০০০ মিটার দূর থেকে বিমানটির পথ আটকায় এফ-১৫। সেটি যাত্রীবাহী বিমান বুঝতে পেরে নিরাপদে তাকে রওনা করিয়ে দেয় এফ-১৫ এর পাইলট।’ এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই পেশাদারী রুটিন নজরদারি চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ড।
এই ঘটনায় মার্কিন বিবৃতি প্রকাশের আগেই এই বিষয়টি ইরানের সরকারি নিউজ চ্যানেল আইআরআইবি গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়। ইরানী গণমাধ্যমে বলা হয়, মাহান এয়ার জেটলাইনারের যাত্রীরা ভয়ে চিৎকার করেছে। বিমানের ভেতর থেকে মোবাইল ক্যামেরায় তোলা একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে অন্তত দুটি ফাইটার জেট যাত্রীবাহী বিমানটির পাশ দিয়ে উড়ে চলেছে।
আইআরআইবি-র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে ইরানের বিমানটি সিরিয়ার আকাশ দিয়ে ওড়ার সময় দুটি যুদ্ধ বিমান তার দিকে এগিয়ে আসে। আইআরআইবি-র ওয়েবসাইটে এই ফাইটার জেট দুটিকে ইসরাইলের যুদ্ধবিমান বলে দাবি করা হয়। সেখানে বলা হয়,’দুটি যুদ্ধবিমান বিপজ্জ্বনকভাবে ইরানের যাত্রীবাহী বিমানের দিকে এগিয়ে আসায় ইরানের বিমানটির পাইলট তাড়াতাড়ি বিমানের উচ্চতায় পরিবর্তন করে, যাতে যুদ্ধবিমানগুলোর সঙ্গে ধাক্কা লাগা এড়ানো যায়। এর ফলে বিমানের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়।’
এই ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিপজ্জ্বনক বলে অভিযোগ করেছে ইরানের সরকারি সংবাদসংস্থা আইআরআইবি।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন