‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০’ সংশোধনের দাবি
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০’ সংশোধন না করে যদি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয় তবে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন প্রতিরোধ কমিটি’।
মেরিন ফিশিং ভ্যাসেল স্কিপার, মেরিন অফিসার ও নাবিকদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিরোধ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও এক্স ক্যাডেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামছুল ইসলাম রাশেদী রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করে এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৬ নভেম্বর আইনটি সংসদে পাস হয়। ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ২০২০ সালের ১৯ নম্বর আইন হিসেবে গেজেট নোটিফিকেশন হয়েছে। তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ আইন অফিশিয়াল নোটিশের মাধ্যমে এখনো জারি করা হয়নি।
আইন প্রণয়নের আগে মেরিন ফিশিং জাহাজ মালিক সমিতি, মেরিন ফিশিং জাহাজ অফিসার সংগঠন, মেরিন ফিশিং জাহাজ নাবিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা, মতবিনিময় কিংবা মতামত নেওয়া হয়নি। এ আইনে ফিশিং ভ্যাসেল নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিংয়ের দায়িত্ব মহাপরিচালক পালন করবেন বলা হয়েছে। কিন্তু এ কর্মকর্তাদের নিয়োগ যোগ্যতা কী হবে এবং ফিশিং ভ্যাসেল মেরিটাইম যোগ্যতা থাকবে কিনা তা উল্লেখ নেই। তাই আইন বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
আইনের তৃতীয় অধ্যায়ের ১৮ নম্বর ধারা সংযুক্ত করে আইএমও নির্দেশিত ‘রুলস অব দ্য রোড এট সি’ অবজ্ঞা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ ফিশিং মেরিনারদের সমন্বয়ে আইএমও, এফএও গাইডলাইনের আওতায় চতুর্থ অধ্যায়ের ধারাগুলো পুনর্বিন্যাস করা প্রয়োজন।
আইনে ৮ম-১২তম অধ্যায়ের ৩২-৫৮ নম্বর ধারাগুলোতে অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর কিছু বিষয় তথা ফিশিং ভ্যাসেল মালিক, অপারেটর, স্কীপার, সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তিকে ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ বা ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ দিয়ে যখন তখন হয়রানি, নাজেহাল, বিনা ওয়ারেন্টে দ- ও জরিমানা করার মতো ক্ষমতা দেওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন