সরকারের ধান ক্রয়ের ধীরগতিতে চিন্তিত কৃষক
নিজস্ব প্রতিবেদক: হাওর অঞ্চলসহ সারা দেশে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন। যদিও বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে আরো অনেক বেশি। সরকার ধান-চাল মিলে এবার সাড়ে ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু গত ২৬ এপ্রিল থেকে ধান কেনা শুরু হলেও ৩১ মে পর্যন্ত মাত্র ৩০ হাজার টন ধান কেনা হয়েছে। ধান ক্রয়ের এই ধীর গতির কারণে চিন্তিত কৃষক।
নগদ টাকার সংকট থাকায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে ধান বিক্রি করছেন কৃষক। কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, কৃষকেরা ভালোভাবে ধান ঘরে তুলতে পেরেছে। তারা এখন ধানের ভালো দামও পাচ্ছেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২৬ এপ্রিল থেকে ধান ক্রয় শুরু হয়। এ পর্যন্ত মাত্র ৩০ হাজার টন ধান কেনা হয়েছে। আর চাল কেনা হয়েছে ৪০ হাজার টন। কৃষকের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে সরকার চলতি বোরো মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল কেনা হবে। এখন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আরও ২ লাখ মেট্রিক টন বেড়ে যাওয়ায় মোট ১০ লাখ টন ধান কিনবে সরকার। ধান-চাল মিলে এবার সরকারিভাবে সাড়ে ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, লকডাউনের কারণে সরকারিভাবে ধীর গতিতে ধান কেনা হচ্ছে। তালিকাভুক্ত কৃষকের কাছ থেকে ধান বা চাল কেনা হবে। কৃষকের হাতে নগদ টাকা না থাকায় সরকারি মূল্য ১০৪০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি করছে। আর এ ধান কিনছেন ফঁড়িয়া ও স্থানীয় মিল-মালিকরা। এতে সাধারণ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সুনামগঞ্জের নামগঞ্জের কৃষক শাহ আলম বলেন, টাকা ধার করে বোরো ধান চাষ করেছি। খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ধীর গতিতে ধান, চাল কিনছেন। বীজ-সার কেনার জন্য ধার শোধ করার জন্য প্রতিমণ ধান ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা করে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন