সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ‘আদিবাসী’ শব্দ এসএসসির প্রশ্নপত্রে!
সাস নিউজ ২৪ ডট কম : সরকারিভাবে ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এসএসসি পরিক্ষার প্রশ্নপত্রে আদিবাসী শব্দের ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ উঠেছে। এর আগে গত ৯ আগস্ট ‘আদিবাসী’ ব্যানারে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠান হয়েছে। এমনকি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও এই ব্যানারেই অনুষ্ঠান করেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ‘বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম’সহ বিভিন্ন সংগঠন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের আদিবাসী উল্লেখ না করার বিষয়ে ইতঃপূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা প্রদান করা সত্ত্বেও তার কোনো কার্যকারিতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। সরকার সতর্কতা অবলম্বনের জন্য নির্দেশ দিলেও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ উদাসীন।
এ নিয়ে খাগড়াছড়িতে আজ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে আদিবাসী শব্দের ব্যবহার, চাঁদার দাবিতে গাড়িতে গুলিবর্ষণ-অগ্নিসংযোগ বন্ধসহ ৮ দফা দাবি তোলে ধরা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়াছড়িতে প্রেস ক্লাব হল রুমে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি শাখার সহ সভাপতি মাইন উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আলকাছ আল মামুন ভূইয়া, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মো. লোকমান হোসেন, জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক জাহেদুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বক্তারা গুলি বর্ষণ-অগ্নিসংযোগ, এসএসসি পরিক্ষার প্রশ্নপত্র আদিবাসী শব্দের ব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি ইউপিডিএফ জেএসসি’র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধসহ ৮দফা দাবি পেশ করা হয়।
এদিকে দাবি আদায়ের লক্ষে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী তিন পার্বত্য জেলা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে জানানো হয়।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ‘বাংলাদেশে আদিবাসী নামক অসাংবিধানিক দাবি বাস্তবায়নের অপকৌশল রোধে রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো জাতীয় ঐতিহাসিক স্থান ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন’ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ছোট ছোট সম্প্রদায়/গোষ্ঠীকে উপজাতি/ক্ষুদ্র জাতিসত্তা/নৃগোষ্ঠী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশী-বিদেশীদের সহায়তায় বাংলাদেশে আদিবাসী নামক অসাংবিধানিক দাবিটি প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ২০১০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘উপজাতী সম্প্রদায়গুলোকে আদিবাসী হিসেবে অভিহিত করার অপতৎপরতা প্রসঙ্গে’ শিরোনামে তাদের অপতৎপরতা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা জারি করা হয়।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন