‘সবাই যদি বলে ভাগ ভাগ, তাহলে রোগীর কী হবে’
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রেইন স্ট্রোকের পর কয়েকটি হাসপাতালে ঘুরেও মুক্তিযোদ্ধা আলমাছ উদ্দিনকে ভর্তি করানো যায়নি; ফলে অনেকটা বিনা চিকিৎসায়ই তার মৃত্যু ঘটেছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
এই ঘটনা শুনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার সহযোদ্ধারা; মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক যুগ্মমহাসচিব (নির্বাচিত) সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু বলেছেন, সবাই যদি এভাবে ‘ভাগ, ভাগ’ বলে তাহলে এই সঙ্কটকালে রোগীর কী হবে?
দেশে করোনা নিয়ে তারা গুজবের পর থেকে সাধারণ সর্দি-জ্বরের রোগীদের হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেই ৬৮ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা আলমাছ উদ্দিনের ব্রেইন স্ট্রোক হয় শনিবার তার ঢাকার বাসাবোর বাড়িতে।
আলমাছ উদ্দিনের সন্তানরা জানান, তাদের বাবার চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরতে হয়েছে। শেষে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো যায়নি।
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি বাসাবো মাঠে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র সমর্পণকারী মুক্তিযোদ্ধা আলমাছের এই মৃত্যুকে বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার ঘটনা মনে করছেন মুক্তিযোদ্ধা টিপু।
তিনি ফেইসবুকে লিখেছেন, বারডেম হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, পপুলার হাসপাতালে, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করে নাই বলে জানান মরহুমের বড় ছেলে। রাত ১২টায় মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করে, সকালে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুর পরে ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হল ‘ব্রেইন স্ট্রোক’।”
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, যে কোনো নাগরিকের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এখন সবখানে যদি বলে ভাগো, ভাগো- তাহলে কী হবে? মুক্তিযোদ্ধা আলমাছের তিনটি সন্তান হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেছে। কিন্তু করোনা সন্দেহে কেউ চিকিৎসা দেয়নি। এই সময়ে কোনো রোগীকে ফিরিয়ে না দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন