লকডাউনে দেশের ৯৫% পরিবারের উপার্জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: লকডাউন ও কথিত সীমিত পরিসরের প্রভাবে সৃষ্ট সামাজিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে শিশু, বিশেষত যারা শহর বা গ্রামের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করছে, তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আর ৯০ দিনে ‘লকডাউনে’ কার্যত অর্থনৈতিক কর্মকা- স্থবির হয়ে পড়ায় দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ পরিবারের উপার্জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে দৈনিক রোজগার বা ব্যবসা বন্ধ থাকায় ৭৮.৩ শতাংশ পরিবারের উপার্জন কমেছে।
শনিবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ শিশু। যার মধ্যে ৪৬ শতাংশ দ্রারিদ্র এবং এর এক-চতুর্থাংশ অতিদারিদ্রতার মধ্যে বেড়ে উঠছে।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে, জরিপ এলাকার ৯৪.৭ শতাংশ পরিবারে খুব সামান্য অথবা কোনো খাবার সঞ্চিত নেই যেখানে ৩৮.৫ শতাংশ শিশু এবং ৫৮.৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে সর্বোচ্চ দুইবেলা খেতে পারছেন। এছাড়া ৫৮ শতাংশ পরিবার খুব কম খাবার খেয়ে দিন পার করছে। প্রায় ৩৪ শতাংশ পরিবার রান্না, ধোয়া-মোছা ও পান করার জন্য নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না। অন্যদিকে ৫০ শতাংশ পরিবার স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ এবং পরিষ্কার পানির অপর্যাপ্ততার কারণে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারছে না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ৫২টি উপজেলার ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১ হাজার ৬১৬ জন শিশু এবং ২ হাজার ৬৭১ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর পরিচালিত জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে র্যাপিড ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন