লকডাউনের অজুহাতে অফিস ফাঁকির হিড়িক!
নিজস্ব প্রতিবেদক: পুরাতন অর্থবছর শেষে ও নতুন অর্থবছরের সন্ধিক্ষণে থাকা জুন মাস প্রত্যেক বছরই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ের গুরুত্বকে সামনে রেখেই ঝুঁকির মধ্যেও অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
টানা দীর্ঘ ছুটির পর সরকারি-বেসরকারি অফিস খুললেও কাজের কাজ তেমন হচ্ছে না। ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যারা বিভিন্ন দপ্তরে যাচ্ছেন তাদের কেউ প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত ফাইলের বিলম্বিত গতি সব কাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অন্য অর্থনৈতিক কর্মকা-।
একাধিক গণমাধ্যম অফিসের হিসাব বিভাগে কথা বলে জানা গেছে, যে অফিসেই তারা তাগিত পাঠাচ্ছেন সেখানেই ফাইল আটকে থাকার তথ্য পাচ্ছেন। কর্মকর্তারা অফিস না করায় ফাইল ছাড়ানো যাচ্ছে না। সচিবালয়সহ সরকারি-বেসরকারি একাধিক অফিস সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লকডাউনের আতঙ্ক তো আছেই। এরমধ্যে অনেকে লকডাউনের ভুয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে অফিসে না যাওয়ার ভান ধরছেন। এ কারণে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে কাজে গতি নেই, সমন্বয়হীনতা সর্বত্র।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফাঁকিবাজির নতুন চিত্রও দেখা গেছে। সরকারি অফিস খোলার পর অনেক দপ্তরে রুম খোলা রেখে, লাইট ফ্যান চালিয়ে রাখা হয়, মনে হয় লোকজন আছে। কিন্তু বাস্তবে কেউ থাকেন না।
সরকারি অফিস খুললেও কেন দরকারি কাজে দেরি হচ্ছে তার খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, সরকারি একটি ফাইলে সাধারণত একই উইংয়ের একাধিক কর্মকর্তার স্বাক্ষর লাগে। সেইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফাইলটির কাজ যদি অন্য আরেকটি উইংয়েরও কাজ থাকে তখন দুই উইংয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার উপস্থিত থাকতে হয়। কিন্তু এসময়ে একটি উইংয়ের সব কর্মকর্তাই অফিস করছেন না।
সেখানে একাধিক উইংয়ের সবাইকে পাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে প্রয়োজনীয় কাজের বেশির ভাগই হচ্ছে না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত কাজে সমস্যা হচ্ছে। এ ধরনের ফাইলে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঘোরাঘুরি করেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। অথচ জুন মাসটি দেশের অর্থবছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন