রেলের ৪ রুট দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হবে -বাণিজ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে স্থলবন্দরের পাশাপাশি ফ্লাইট পরিচালনাও বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার। যদিও পণ্য পরিবহনকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হয়। কিন্তু তাতেও কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়নি। তাই ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান রেলের চারটি রুটকে ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের নেয়া পদক্ষেপসমূহ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য পণ্য যেমন- তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল যেগুলো আমদানি করতে হয় সেগুলো যেন বন্দর থেকে দ্রুত খালাস করা যায় সে ব্যবস্থা করছি। চট্টগ্রাম বন্দর, বিমান বন্দরসহ স্থল বন্দরে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। ভারত থেকে পণ্য আনতে কয়েকদিন আগে আমরা বেনাপোল স্থলবন্দর খুলতে পেরেছিলাম, কিন্তু তিন দিন চলার পর সমস্যার কারণে সেটা বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, তবে অন্যান্য স্থলবন্দর যেটা আসাম, ত্রিপুরা দিয়ে কানেক্টেড (যুক্ত) সে পথ দিয়ে কিন্তু ভারত থেকে পণ্য আমদানি হচ্ছে। গত তিন দিন আগে আমাদের সচিব ভারতের তিনটি ডিপার্টমেন্টের সাথে রেলওয়েতে কীভাবে পণ্য আনা যায় সে বিষয়ে কথা বলেছেন। আশা করছি আগামী রোববার এ ব্যাপারে একটা ফাইনাল মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যাতে করে চারটা রুটে ভারত থেকে রেলপথে কার্গো আনা যায়। এ রকম একটা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে হিলি, বিরল, দর্শনা ও বেনাপোল রুটকে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ সময়টায় অত্যন্ত জরুরি হচ্ছে পাট বীজ। পাট বীজ ভারত থেকেই আসে। সেটা বন্ধ হয়ে আছে। তিন দিন খোলা থাকায় বেনাপোল দিয়ে ৩০০ টনের মত পাট বীজ আনতে পেরেছি। রেল চালু হলে আরও পাট বীজ আনা সম্ভাব হবে। এছাড়া অন্যান্য কাঁচামাল আনা সম্ভাব হবে।
টিপু মুনশি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতে বিভিন্ন দেশ ক্রয় আদেশ যাতে বাতিল না করে সেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের চিঠি দেয়া হচ্ছে যাতে পরিস্থিতি মোকাবিলার বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পোশাক কারখানায় যারা কাজে যোগ দিতে পারেনি তাদেরকে ৬০-৬৫ শতাংশ বেতন দেয়া হবে। আর যারা কাজ করেছে তারা সম্পূর্ণ বেতন পাবেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন