মেহেরপুরের নদীগুলো ১১৫ জনের দখলে
মেহেরপুর সংবাদদাতা: ভূমিদস্যুদের দখলে মেহেরপুরের কাজলা, ছেউটিয়া ও মাথাভাঙ্গা এখন মরা নদী। কোথাও কোথাও বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা। যদিও নদী দখলদারদের একটি তালিকা প্রণয়ন করেছে জেলা প্রশাসন। পরিবেশবিদরা বলছে এ তালিকা পূর্ণাঙ্গ নয়। নদীগুলো দখলমুক্ত করে পুনঃখননের দাবি তাদের।
এসব নদী থেকে জীবিকা নির্বাহ হতো নদী পাড়ের মানুষের। কিন্তু সেই নদীগুলো এখন ভূমিদস্যুদের দখলে। কোথাও নদীর লেশমাত্র নেই। নদীর বুকজুড়ে চলছে চাষাবাদ। সমাজের প্রভাবশালীরা নিজের নামে রেকর্ড করে দখলে নিয়েছে নদীর জমি। কেউবা আবার ক্রয়সূত্রে কিনে চাষাবাদ করছে। অনেকেই ধানি জমি দেখিয়ে নিজের নামে দখলে নিয়েছে নদীর জমি। পানিকারসহ ৩৯ একর জমি পৈতৃকসূত্রে তাদের দাবি করছে। অথচ সেই নদীতে এখনও হাটু পানি। যদিও নদী দখলের ১১৫ জনের দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন।
এলাকাবাসী জানান, নদীর যেসব স্থানে পানি রয়েছে সেগুলো বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার প্রভাবশালীরা। এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সেই দলের ক্ষমতাশীলরা নদী দখলে নেই। আর জনপ্রতিনিধিরা আবার নিজের নামে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা নিয়ে কয়েকটিভাগে ভাগ করে সমাজের প্রভাবশালীদের ইজারা দিয়ে বাঁধ দিয়ে করছে মাছ চাষ।
স্থানীয়রা আরও জানান, মেহেরপুরের কাজলা নদীর উৎপত্তিস্থল থেকে ভৈরব নদের সংযোগ পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দখলের ছাপ। নদীর পাড় কেটে সমতল জমি তৈরি করেছেন দখলকারীরা। খ- খ- অংশে এখন বোরো ধানের চারা দেয়া হয়েছে। আর কিছুদিন পরেই সেখানে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হবে। শুধু ধান আবাদই নয় অনেক জায়গায় পুকুর খনন করা হয়েছে। আবাদ হচ্ছে বিভিন্ন ফসলের।
নদীর যে অংশে সামান্য পানি রয়েছে তাতে কপুরিপানায় ভরা। এসব কারণে নদীর গতিপথও পরিবর্তন হচ্ছে। মাটি কেটে নদীর পাড় সমতল এবং আবাদী জমিতে রুপান্তরিত করায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। মেহেরপুর জেলা পরিষদের সদস্য তোফাজ্জেল হোসেন জানান, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে লিজ নিয়ে তারা এ চাষাবাদ করছেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন