মুন্সীগঞ্জে পাইকারি বাজারে আলুর দরপতন
নিউজ ডেস্ক: মুন্সিগঞ্জের পাইকারি বাজারে পড়ে গেছে আলুর দাম। পাইকারি আর খুচরা বাজারে দামের তফাত ১২ টাকা পর্যন্ত। এতে হিমাগারে সংরক্ষণকারী কৃষকরা বেশি লোকসানে পড়েছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, ফায়দা লুটছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
হিমাগারে সংরক্ষিত আলু পাইকারি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৩ টাকায়। অথচ সংরক্ষণে ব্যয় হয়েছে ১৮ থেকে ২০ টাকা। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। পাইকারি আর খুচরা বাজারে তফাত ৭ থকে ১২ টাকা। এতে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মারাত্মক হতাশা। কৃষকরা বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে আলুর দামের দরপতন ঘটিয়েছে।
জিজ্ঞাসা করলে এক পাইকারি আলু ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের কেজিপ্রতি ১৮ টাকা করে খরচ হয়েছে। অথচ বিক্রি করতে হচ্ছে ১২ টাকায়। প্রতি কেজিতে ৬ টাকা করে লোকসান হলে আলুর ব্যবসা করে কী লাভ।’
আরেকজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের প্রতি বস্তায় তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ টাকার লোকসান হচ্ছে। এই অবস্থায় লাভ দূরে থাক লোকসান কাটিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছি।’
লকডাউনে আলু পরিবহনে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করে ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেটরা কৃষক এবং ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে ১৩ টাকা কেজিতে আলু কিনে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে বলে জানান তারা। এ ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপও আশা করছে আলু ব্যবসায়ীরা।
বাজার ব্যবস্থাপনা সঠিক যায়গায় নিয়ে আসা গেলে কৃষকের লোকসান কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। মুন্সীগঞ্জের জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা খুরশীদ আলম বলেন, ‘ প্রথমত আমাদের খুচরা মূল্য এবং পাইকারি মূল্যের মধ্যে একটা সমন্বয় সাধন করতে হবে। দ্বিতীয়ত আলুকে কেবল সবজি হিসেবে ব্যবহার না করে ফাস্ট ফুডেও এর ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। এ ব্যাপারে শিল্পকারখানাগুলো এগিয়ে এলে বাজারমূল্য স্থিতিশীল হবে বলে আশা করা যায়।
মুন্সিগঞ্জ জেলায় এবার ৩৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন