ভয়ে দোকানিদের পলায়ন, ক্যাশবাক্সে হাত পুলিশ সদস্যের
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: রাতে গ্রামের ভেতরে চলছে দোকান। হঠাৎ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে হাজির তিনজন। একজনের কোমরে পিস্তল রাখার চামড়ার বক্স। নিজেকে থানার পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দোকান খোলা রাখার কারণ জানতে চাইলেন। ভয়ে দোকানিরা যে যাঁর মতো পালিয়ে গেলেন। এ সুযোগে দোকানের ক্যাশবক্সে টাকাপয়সা নিয়ে নেয়। এতে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে একপর্যায়ে তিনজনকেই আটক করে। পরে জানা যায়, কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিটি চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কনস্টেবল।
গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকু-ের কুমিরা ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটক হওয়া ব্যক্তির নাম সোহেল রানা। সীতাকু- থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, সোহেল রানা পুলিশ সদস্য কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নগর পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সোহেল রানা সিএমপির কনস্টেবল। তার কনস্টেবল নম্বর ৪৮৫৩। অবশ্য অনেক দিন ধরে সে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্থানীয় ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তে এখন দেশজুড়ে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান এই সিদ্ধান্তের আওতামুক্ত। রহমতপুর গ্রামে গতকাল মুদি দোকানসহ কয়েকটি দোকান খোলা ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সেখানে যায় একটি ব্যক্তিগত গাড়ি। তাতে চালকসহ মোট তিনজন ছিলেন। তাদের মধ্যে সোহেল রানা নিজেকে সীতাকু- থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে পরিচয় দেয়। তার কোমরে ছিল পিস্তল রাখার চামড়ার বক্স। গাড়িতে চালকের পাশাপাশি আরেকজনও ছিলো।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, সোহেল রানা প্রথমে সিদ্ধান্ত অমান্য করে দোকান খোলা রাখার কারণ জানতে চান। এতে ভয় পেয়ে যান দোকানদারেরা। তারা পালিয়ে যান। পরে তিনি দোকানগুলোর ক্যাশবক্সে হাত দেন। সেখানে থাকা টাকাপয়সা নিতে শুরু করেন। এতে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এরপর লোকজন জড়ো হয়ে সোহেলসহ তিনজনকেই ধরে ফেলেন। অপর দুজন হলেন গাড়িচালক আবদুল মোনাফ ও পুলিশের তথ্যদাতা ইমরান হোসেন। পরে থানায় খবর দেওয়া হয়। রাতে পুলিশ এসে তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন