ফিরেছে কারওয়ান বাজারের চাঁদাবাজরা আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা
সাস নিউজ ২৪ ডট কম : আবারো ভয়ংকরভাবে ফিরেছে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজরা। বর্তমান সরকারের প্রথম দফায় ক্ষমতা গ্রহণের পর চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় স্বল্প সময়েই গোটা কারওয়ান বাজার সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মুক্ত হয়। ব্যবসায়ীরাও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন। বিগত কয়েকবছর স্বস্তিতে থাকলেও শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকের বর্তমান সেকেন্ড ইন কমান্ড দাবিকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ আরিফের নেতৃত্বে বছর দুয়েক ধরে আবরো শুরু হয়েছে ভয়ংকর চাঁদাবাজি। রেহাই পাচ্ছেন না কৃষকলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ সমর্থিত ব্যবসায়ীরাও। তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এমনকি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপেও বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি। চাঁদা না দিলে হুমকী মারধর দোকানপাঠ উচ্ছেদ করে ব্যবসা বন্ধ করে পথে বসিয়ে দিচ্ছে নিরীহ ব্যবসায়ীদের। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন মহলে আবেদন নিবেদন করেও এখনো কোন প্রতিকার পাননি ব্যবসায়ীরা।
বিভিন্ন অভিযোগ থেকে জানা যায়, পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকের বর্তমান সেকেন্ড ইন কমান্ড দাবিকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী আরিফের নেতৃত্বে ইমরুল, সুজন, সজল, সাগর, আজাদ, কুদ্দুস, সালাউদ্দিন, রাজু, মামুন ও জাহাঙ্গীরগং গোটা কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজী ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বাজার থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছে। শুধু একবার নয় বরং দফায় দফায় চাঁদাবাজী করছে। বাজারে রাস্তার মধ্যে ১০ ফুট বাই ১০ একটি জায়গার জন্য প্রতি মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা এবং অগ্রিম ২ থেকে ৫ লাখ টাকা আদায় করছে চাঁদাবাজরা। শুধু তাই নয়, মাল ক্রয় করে ফুডে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের থেকে মাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আদায় করে। প্রতিটি পিকআপ বা ট্রাক লোড আনলোড করতে বাজারে ঢুকতে ও বের হতে প্রতিবারে ৫০০-১০০০ টাকা আদায় করে। এমনকি ভ্যান চালক এবং কুলিদেরও চাঁদা দিতে হয়। এতে কেজি প্রতি ব্যবসায়ীদের ১৫ টাকা অতিরিক্ত খরচ পড়ছে। ফলে আড়তে ২০ টাকা কেজির পণ্যসামগ্রী খুচরা পর্যায়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পড়ছে। ফলে সরকারের ঘোষিত দ্রব্যমূল্য সহনীয় না থেকে লাগামহীন হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে চাঁদা না দিলে নিরীহ ব্যবসায়ীদের হুমকী দিয়ে মারধর করে উচ্ছেদ করছে সন্ত্রাসীরা। অনেকে ব্যবসার স্থান ও পূজি হারিয়ে পথে বসে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন মহল প্রতিকার করায় ব্যবসায়ীদের দেখে নেয়ারও হুমকী দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এমনকী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ওসি কেউ তাদের কিছু করতে পারবেনা বলেও হুমকী দিয়েছে।
অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের শিকার বিভিন্ন পেশার শত শত ব্যবসায়ী থেকে ২৩ জন ব্যবসায়ী বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। গত ২৮/০৩/২০১৭ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ১১টা ৩০ ঘটিকার সময় সুজন ও সাগরের নেতৃত্বে উক্ত সন্ত্রাসীরা দলবদ্ধভাবে আসিয়া অভিযোগকারী ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারীর দোকানে কাঁচামাল নামানো বন্ধ করে দিয়ে অগ্রিম ২ লক্ষ টাকা ও প্রতি মাসে ৪৫ হাজার টাকা দাবি করলে তিনি অগ্রিম ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেন এবং প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা দিবেন বলে জানান। কিন্তু সন্ত্রাসী সুজন ও সাগর এতে রাজি হয়নি। অগ্রিম প্রদত্ত ১ লক্ষ টাকাও ফেরত দেয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ২৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি জনাব সাহাবুদ্দীন, তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান ২৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার শামীম সাহেব এবং তেজগাঁও থানা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব জিল্লু সাহেবকে বিষয়টি জানালে তারা উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের ফোন দিয়ে ব্যবসার জায়গা ছেড়ে দিতে বলেন অথবা অগ্রিম প্রদত্ত ১ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়ার জন্য বলেন। তাতেও সন্ত্রাসীরা কোন কর্ণপাত না করে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং টাকা ফেরত দেয়া হবে না বলে জানায়।
সুজনগং কিছুদিন আগে কাওরান বাজার ওয়াসা গলি হইতে ব্যবসায়ী জামাই দুলালকে ও তার ভাগিনা সোহাগকে মারধর করে তাহার ব্যবসার জায়গাটা দখল করে বিএনপি নেতা দেলোয়ারের ভাই জাহাঙ্গীরকে বুঝিয়ে দিয়ে তাহার নিকট হইতে ২ লক্ষ টাকা অগ্রিম চাঁদা নেয় এবং মাসে ৪০ হাজার টাকা করে চাঁদা নেয়।
ওয়াসা গলি হইতে ব্যবসায়ী নজরুলকে মারধর করে সুজন ও তার সহযোগীরা তাহার নিকট নগদ ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম ও প্রতি মাসে ২১ হাজার টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে। ওয়াসা গলিতে ব্যবসায়ী মোমিন খানের ভাই বিরম খানের নিকট ৩০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছে। ওয়াসা গলির ব্যবসায়ী বল্লা সেলিমকে মারধর করে নগদ ১ লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়ে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করছে। ব্যবসায়ী মোরশেদকে মারধর করে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছে। ব্যবসায়ী বরিশাইল্লা সেলিমের লোকজনকে মারধর করিয়া অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা ও প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছে। পারভেজ গলির টিনের দোকানের পার্শ্বে শাহজাহান ফুডে কাজ করা ব্যবসায়ীর নিকট সুজন ও সজল অগ্রিম ৩০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছে। এইচ আর সি ভবনের সামনে বাবুল ফুডে কাজ করা ব্যবসায়ীকে মারধর করে অগ্রিম ৩০ হাজার টাকা ও প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে।
আলমগীর ফলপট্টি কবির সাহেবের মদের বারের কোনায় কাজ করা ব্যবসায়ীকে মারধর করে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা ও প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছে। কিছুদিন আগে ওয়াসা গলির ইউসুফকে মারধর করে তাহার নিকট হইতে ২ লক্ষ টাকা নগদ চাঁদা আদায় করে এবং প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছে। এ বিষয়ে ইউসুফ নিজে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তাতেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তেজগাঁও থানা ২৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য রফিক ডাক্তারের স্থানে ওয়াসা গলি ইত্তেফাক ভবনের সামনে তাহার কর্মচারীদের মারধর করে এবং তার ব্যবসা চলাকালীন সময় লাইট ভেঙ্গে ত্রাস সৃষ্টি করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে তাৎক্ষণিক আপোষ করে কিন্তু এখন প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করিয়া আসছে। তেজগাঁও থানার সাবেক কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেলুর নিকট চাাঁদাবাজ সুজন ১ লক্ষ টাকা অগ্রিম ও প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু দেলু উক্ত চাঁদার টাকা না দেয়ায় তার ফিল্টার পানির ব্যবসা বন্ধ করে দেয়। ওয়াসা গলির ভ্যান সরদার লিটনের নিকট উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম চাঁদা দাবি করিয়া প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে, দাবিকৃত টাকা না দিলে লিটনের ভ্যান গাড়ির লোকজন কাওরান বাজারে ভ্যান চালাতে পারবেনা না বলে সন্ত্রাসীরা জানিয়ে দেয়।
কাওরান বাজার এরশাদ বিল্ডিং এর সামনে শাক ব্যবসায়ী খোকার নিকট হইতে ৮০ হাজার টাকা অগ্রিম এবং প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। ওয়াসার পিছনে আবু সাঈদের প্লটের পূর্ব পাশে চায়ের দোকানী শাহজাহানের নিকট ৩০ হাজার টাকা অগ্রিম ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে। ব্যবসায়ী ফজলু মল্লিককে ওয়াসা গলিতে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম ও প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে। ওয়াসা গলির পূর্ব মাথার ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার খানের ব্যবসায় বাধা দিয়ে নগদ ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম চাঁদা আদায় করে ও প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছে। হোটেল সাউদিয়ার গলিতে ফিল্টার পানির কারখানার মালিক নূর মোহাম্মদের নিকট শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকের পরিচয় প্রদান করিয়া নিকট ফোনে সালাউদ্দিন, রাজু ও আরিফ নামে পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী সুজন ও সজলের নিকট ২ লক্ষ টাকা অগ্রিম ও প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা জন্য প্রদান করার নির্দেশ দেয় অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। হোটেল সাউদিয়ার গলিতে তেল ব্যবসায়ী আব্দুল হককে শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকের পরিচয় দিয়ে মোবাইলে সুজন ও সজলের নিকট ২ লক্ষ টাকা প্রদান করতে বলে অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ২৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের ৩ নং ইউনিটের সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেলুর নিকট ৫০ হাজার অগ্রিম চাঁদা দাবি করে ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করছে। ইত্তেফাক গলির ব্যবসায়ী মোহসিনের নিকট ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম চাঁদা দাবি করিয়া মারধর করে এবং মাসিক ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে। হোটেল সাদিয়ার গলিতে ফুডে কাজ করা ব্যবসায়ী শরীফের নিকট ১ লক্ষ টাকা অগ্রিম চাঁদা দাবি করে ও প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা নিচ্ছে। এরুপ শতাধিক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজী করছে।
অভিযোগ অনুযায়ী সন্ত্রাসী গ্রুপে রয়েছে, (১) আরিফ হোসেন (২৯), পিতা- হারুন, সাং সোনাপুর থানা জেলা- লক্ষ্মীপুর। বর্তমান ভাসমান কাওরান বাজার তেজগাঁও, ঢাকা। (২) ইমরুল (২৭), পিতা- পাগলা রহমান, সাং- গাবদেরগাঁও, থানা- ফরিদগঞ্জ, জেলা- চাঁদপুর। বর্তমান হোটেল আকাশ ইন এর নিচ তলা, কাওরান বাজার, তেজগাঁও, ঢাকা। (৩) সুজন (২৮) পিতা- মদের দোকানদার মৃত মহিমামা, হাসিনা মার্কেট কাওরান বাজার তেজগাঁও, ঢাকা। (৪) সজল (২৬), পিতা- মদের দোকানদার মৃত মহিমামা, ঐ। (৫) সাগর, চাঁদাবাজদের গডফাদার। (৬) আজাদ (৩৫), পিতা মৃত খোরশেদ সরদার, সাং পনিশাইর সরদার বাড়ি, পোষ্ট- কামতাবাজার, থানা- ফরিদগঞ্জ, জেলা- চাঁদপুর। বর্তমান ভাসমান কাওরান বাজার। (৭) কুদ্দুস গিলা (৩৯), পিতা- রফিকুল ইসলাম গিলা, সাং- টোরাগর গিলা বাড়ি, পোষ্ট- আলীগঞ্জ, থানা- হাজীগঞ্জ, জেলা- চাঁদপুর। বর্তমান ভাসমান কাওরানা বাজার, তেজগাঁও, ঢাকা। (৮) সালাউদ্দীন (৩০), পিতাঃ অজ্ঞাত, ঠিকানা- অজ্ঞাত, ভাসমান কাওরান বাজার। (৯) রাজু (৩২), পিতা- অজ্ঞাত, ঠিকানা- অজ্ঞাত, ভাসমান কাওরান বাজার। (১০) মামুন ওরুফে বেচা, পিতা- লালমিয়া, সাং- উত্তর সোনাপুর তেলিবাড়ী, থানা ও জেলা : লক্ষ্মীপুর। (১১) বিএনপি নেতা দেলোয়ারের ভাই জাহাঙ্গীরসহ আরো অজ্ঞাত ৭/৮ জন সন্ত্রাসী। উল্লেখিত চাঁদাবাজরা সবাই পেশাদার সন্ত্রাসী। তারা নিজেদের শীর্ষ সন্ত্রাসী আশিকের সেকেন্ড ইন আরিফের নেতৃত্বে আশিকের নামে সব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য সন্ত্রাসী আরিফসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, অপহরণ, হত্যা ও ধর্ষণের মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আরিফের বিরুদ্ধে ৭/৪/২০১৫ লক্ষীপুর সদর থানায় ১৪৭/১৪৯/৩০২/৩৯৯/৪০২/৩৫৩/৩৩২/৩৩৩ এবং ১৮৭৮ ইং সনের অস্ত্র আইনের ১৯-ক ধারাসহ বিভিন্ন ধারায় ৯টি মামলা রয়েছে। আজাদ ও কুদ্দুসের বিরুদ্ধে ৬/১২/২০১৩ তারিখে ৩২৩/৩৭৯ ধারায় রমনা থানা ডিএমপিতে মামলা রয়েছে। মামলা নং ১৪।
এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন, অপহরণ, হত্যা ও সম্ভ্রমহরণের মামলা থাকার পরও তারা প্রশাসনের নিরবতায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এতে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। চাঁদা না দেয়ায় ইতিমধ্যে অনেকে উচ্ছেদের শিকার হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। শত শত ব্যবসায়ী আতঙ্কের পাশাপাশি ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন