ভারতের নাজুক অর্থনীতিতে নাগালের বাইরে কর্মসংস্থান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাজের খোঁজে থাকা লোকজনের সংখ্যা বৃদ্ধি আশ্চর্যের কোনো বিষয় নয়। যখন ভারতের অর্থনীতিটির প্রবৃদ্ধি এক দশকের সর্বনিম্নে পৌঁছে গেছে, তখন নতুন ভবনের সংখ্যা খুব বেশি বাড়ার কথা নয়। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে ৫ শতাংশে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতের নির্মাণ খাতের মন্থরগতি থেকে (কৃষির পর দেশটির দ্বিতীয় বৃহৎ কর্মসংস্থান উৎস) দেশটির পতনমুখী অর্থনীতির সবচেয়ে স্পষ্ট আভাস পাওয়া যাচ্ছে। মন্থর নির্মাণ খাত দেশটির কয়েক লাখ দিনমজুরের জন্য ভয়াবহ আঘাত হয়ে উঠেছে, যারা নিজেদের ও গ্রামে পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য শহরের দৈনিক কাজের ওপর নির্ভরশীল। পল্লী অঞ্চলগুলো শহুরে অভিবাসী নির্মাণ শ্রমিকদের পাঠানো অর্থের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।
তিন বছর আগে গুরগাঁওয়ে আসা একজন জানায়, দুই বছর বাড়িতে পাঠানোর মতো যথেষ্ট অর্থ আয় করলেও বর্তমানে ১০ দিনের মজুরি দিয়ে মাসের বাকি ২০ দিন চলতে হচ্ছে।
মন্থর নির্মাণ খাতের কারণে কেবল নিম্ন আয়ের শ্রমিকরাই নয় কয়েক লাখ বাড়ি ক্রেতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যারা অর্থনৈতিক বিস্ফোরণের সময় নয়াদিল্লির পাশে দ্রুতবর্ধনশীল নয়ডায় আবাসন প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ করেছিল। বর্তমানে অসমাপ্ত বহুতল ভবন ও স্থগিত হয়ে পড়া কয়েকশ প্রকল্পের কারণে বিপাকে রয়েছে এসব ক্রেতা। অসমাপ্ত বাড়ির বন্ধকের অর্থ পরিশোধে নিজেদের সঞ্চয় শেষ করতে হচ্ছে বহু মধ্যবিত্ত পরিবারকে।
অন্যান্য বড় নিয়োগ প্রতিষ্ঠান, কারখানা ও রফতানি ইউনিটগুলোও খুব বেশি ভালো করছে না। টানা ছয় মাস ভারতের রফতানিতে পতন দেখা গেছে। কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। কোম্পানিগুলোতেও কোনো নিয়োগ নেই। এ মুহূর্তে ভারতের অর্থনৈতিক মন্থরতা ‘ফেটে পড়ার পর্যায়ে’ পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছে নয়াদিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফিন্যান্স অ্যান্ড পলিসির এক অর্থনীতিবিদ।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন