বোরকা নিষিদ্ধকারী কাফিররাই এখন চেহারা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক করেছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রথম দেশ ফ্রান্স, যেখানে আইন করে মুসলমান নারীদের শরয়ী পর্দাপালন তথা বোরকা, হিজাব পরে চলাফেরা করাকে নিষিদ্ধ করা হয়। করোনা নামক গযবে পড়ে আজ সে ইসলামবিদ্বেষী ফ্রান্সেই মুখোশ না পরে বা মুখ না ডেকে চলাফেরা করলেই ১৫০ ইউরো জরিমানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি বিদ্বেষবশতঃ ২০১১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ফ্রান্সে সাধারণ জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় চলাফেরা করার সময় ওড়না, হিজাব ও বোরকা পরা আইনিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
করোনা গযবে আক্রান্ত শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা গযবে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি। প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে অসংখ্য।
করোনা গযব আতঙ্কে ফ্রান্সের কথিত ‘প্যারিস ফ্যাশন সপ্তাহে’ অংশগ্রহণকারীরা মুখোশ পরেই অংশগ্রহণ করে। তাদের পরিহিত পোশাকগুলো মুসলিম নারীরা সাধারণত হিজাব হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন।
শুধু ফ্রান্সেই নয়, বিশ্বের অনেক কাফির দেশেই করোনাভাইরাস নামক গযব ছড়িয়ে পড়ায় অমুসলিম নারী থেকে শুরু করে সবাই এখন হিজাব বা মাস্ক পরছে। নিরাপত্তার বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখেই তারা এ মুখোশ পড়ছে। কিন্তু ফ্রান্স সবার জন্য মুখোশ পরাকে বাধ্যতামূলক করতে ১৫০ ইউরো জরিমানার আইন জারি করেছে। অথচ করোনা গযবে আক্রান্ত হওয়ার আগে ফ্রান্সে ওড়না বা মুখোশ পরা ছিল নিষিদ্ধ।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সারা বিশ্বের মুসলমানরা নারীদের পর্দা পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ফ্রান্সের এ সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানিয়েছিল। সে সময় এ আইনকে ফ্রান্সে বসবাসরত মুসলমান নারীদের ওপর নিপীড়নের উপায় হিসেবেও অভিহিত করা হয়েছিল।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন