বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দরপতন, কমছে না দেশে
নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে স্বর্ণের দাম কমেছে। এক সপ্তাহে মূল্যবান এই ধাতবের দাম কমেছে ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। প্রতি আউন্সে কমে স্বর্ণ দর হারিয়েছে ৫০ ডলার। গোল্ডপ্রাইস ডট ওআরজির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্পট মার্কেটে ৩০ জুলাই প্রতি আউন্স (২৮ দশমিক ৩৪৯ গ্রাম) যে স্বর্ণের দাম ছিল ১৮১৪ মার্কিন ডলার তা ৬ আগস্টে বিক্রি হয়েছে ১৭৬৪ ডলারে।
চলমান পরিস্থিতির শুরুতে স্বর্ণের দাম বেশ খানিকটা পড়ে গেলেও গত দেড় বছরে এ ধাতুর দাম বেড়েছে প্রায় ৩০০ ডলার। গত বছর আগস্টের মাঝামাঝি বিশ্ববাজারে স্বর্ণের প্রতি আউন্সের দাম সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌছায়। সে সময় বিক্রি হয় ২০৫০ ডলারের ওপর। করোনায় জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ কমায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ স্বর্ণের মজুত বাড়াতে থাকে।
গোল্ডপ্রাইসের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয়। মাঝে কিছুটা দাম কমলেও চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসের প্রায় পুরো সময়জুড়ে স্বর্ণের বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে। গত সপ্তাহে স্বর্ণের পাশাপাশি বিশ্ববাজারে আরেক মূল্যবান ধাতু প্লাটিনামের দামও কমেছে অনেকটাই।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি বা কমার সঙ্গে বাংলাদেশেও দাম নির্ধারণ করতে দেখা গেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতিকে। তবে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে এখনই দাম সমন্বয় করা হবে না বলে জানিয়েছে বাজুস।
বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, ‘লকডাউনে স্বর্ণের পাইকারি ও খুচর সব ধরনের বাজারই বন্ধ। তাই এখনই বাজার সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই। বেচাকেনা শুরু হলে তখন যদি বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম এমন থাকে, দেশের বাজারেও অবশ্যই দাম কমানো হবে। আবার যদি আন্তর্জাতিক বাজারে দাম আগের অবস্থায় ফিরে যায় তাহলে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের প্রয়োজন হবে না।’
বিশ্ববাজারের হিসেবে গত এক সপ্তাহে স্বর্ণ প্রতি ভরিতে দর হারিয়েছে প্রায় ১৮শ’ টাকা । বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় মে মাসে দেশের বাজারে দু’দফায় প্রতি ভরিতে (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম চার হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। তবে জুনের শুরুতে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে বড় পতন হলে বাংলাদেশেও স্বর্ণের দাম কমানো হয়।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন