বিভিন্ন দফতরে পাঠানো সুপারিশের অগ্রগতির খোঁজ নেবে দুদক
নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যেসব সুপারিশ বা পরামর্শ পাঠিয়েছে সেসবের অগ্রগতি জানতে খোঁজ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের এক অনির্ধারিত জরুরি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদকের গণশুনানির ওপর চালানো এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা গেছে, ফলো আপ’ গণশুনানি দুর্নীতি প্রতিরোধে একটি কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ‘ফলো আপ’ কার্যক্রম শুরুর আগে যেসব গণশুনানি হয়েছে তা ততটা কার্যকর হয়নি।”
তিনি বলেন, দুদক আইন অনুযায়ী কমিশন বিগত চার বছর নিয়মিতভাবে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সরকারের কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে দুর্নীতি-অনিয়ম প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সুপারিশ পেশ করছে। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থায় বিদ্যমান দুর্নীতির সম্ভাব্য উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধে বহুমাত্রিক সুপারিশ করা হচ্ছে। কখনও কখনও বিভিন্ন অনিয়ম চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশন গঠিত বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক টিমের প্রতিবেদন, বার্ষিক প্রতিবেদনের সুপারিশমালা, দুর্নীতি প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে যেসব প্রতিবেদন, পত্র পাঠানো হচ্ছে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুদকের একজন মহাপরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তা নিয়মতি যোগাযোগ করবেন এবং বাস্তবায়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি কমিশনকে রিপোর্ট আকারে অবহিত করবেন।’
ইকবাল মাহমুদ বলেন, সাধারণত কমিশনের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধি-বিধান, পরিচালন পদ্ধতি, সরকারি অর্থ অপচয়ের দিকগুলো পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে সীমাবদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা, দুর্নীতির সম্ভাব্য উৎস ও তা প্রতিরোধে বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশমালা প্রণয়ন করে। কমিশন সর্বোচ্চ শ্রম ও মেধা দিয়ে এসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। দুর্নীতি প্রতিরোধে এসব রিপোর্টের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু এগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, তার সঠিক চিত্র আমাদের কাছে নেই। হয়তো কিছু কিছু বাস্তবায়ন হচ্ছে আবার কিছু কিছু হয়তো হচ্ছে না। তাই এগুলো বাস্তবায়নে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
দুদক সচিবের নেতৃত্বে একটি টিম গঠনের অনুরোধ জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, এই টিম এক মাসের মধ্যে বিগত চার বছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে যেসব পত্র ও সুপারিশ পাঠিয়েছে তার একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ কমিশনের উপস্থাপন করবে।’
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন