বিদেশে বাড়ছে দেশি কোম্পানির বিনিয়োগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পণ্য ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। এরইমধ্যে দেশের উদ্যোক্তারা বিদেশে গড়ে তুলছেন বেশ কিছু কোম্পানি। নতুন করে কোম্পানি খোলার অনুমতি পেতে যাচ্ছে আরও ছয় প্রতিষ্ঠান।
এখন বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশি বিভিন্ন কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সতর্কভাবেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ এখনও বিদেশে বিনিয়োগ নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি।
বিশেষ ব্যবস্থায় ২০১৩ সালে প্রথম একটি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৪৭ সংশোধন করে শর্তসাপেক্ষে বিদেশে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেস টু কেস ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর বিদেশে অবস্থিত শাখা ও এক্সচেঞ্জ হাউজ পরিচালনার জন্যও পুঁজি নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, নতুন করে আরও ছয় উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিক পর্যায়ে বিদেশে প্রায় ৬৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ (সর্বশেষ বিনিময় হার অনুযায়ী) বিনিয়োগ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি দেশি উদ্যোক্তাদের বিদেশে বিনিয়োগের আবেদন পর্যালোচনায় গঠিত প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির এক সভায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ প্রসঙ্গে ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগে থেকেই বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। নতুন করে আরও কিছু প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি সরকার ইতিবাচকভাবে দেখছে। এরই মধ্যে এ নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার বৈঠক হয়েছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন