বিএসএফের বর্বরতা: ৯ বছর ধরে ঝুলে আছে ফেলানী হত্যার বিচার
কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: বহুল আলোচিত ফেলানী খাতুন হত্যার ৯ বছর আজ। দীর্ঘ সূত্রিতার মধ্যদিয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে চলছে লোকদেখানো বিচারিক কার্যক্রম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের আইন বিভাগ এই হত্যার বিচারে আগ্রহী নয়। তবে ফেলানীর পরিবার এখনও বুক বেঁধে আছে ন্যায়বিচারের আশায়।
২০১১ সালের এই দিনে ভারতীয় বর্বর সীমান্তবাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত নিরীহ ফেলানীর মৃতদেহ কাঁটাতারে ঝুলে ছিল দীর্ঘ সাড়ে ৪ ঘণ্টা। এতে প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের মানুষ। দীর্ঘ ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার সম্পন্ন হয়নি। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি শুনানীর দিন ধার্য করা হলেও তা বারবার পিছিয়ে দেয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরে ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার না হওয়ায় পরিবারসহ হতাশ স্বজনরাও। ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই ভারতীয় মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) ফেলানী খাতুন হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে দেশের সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করে। ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর শুনানীর পর ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে বারবার তারিখ পিছিয়ে যায়। ফলে থমকে গেছে ফেলানী খাতুন হত্যার সুষ্ঠুু বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবি।
ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরু ও মা জাহানারা বেগম জানান, ভারতীয় সর্বোচ্চ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারিক কার্যক্রম ঝুলে থাকায় আমরা হতাশ। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য দীর্ঘ ৯ বছর ধরে অপেক্ষা করছি।
এদিকে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম নিয়ে কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে ফেলানী হত্যাকা-ের রিট এ বছর তালিকাভুক্ত না হওয়ায় কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে বিচারিক কাজ। দ্রুত ফেলানী হত্যাকান্ডের বিচার উভয় দেশের সীমান্তের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন