গণমুখী হতে পারেনি রাজধানীর গণপরিবহন
সাস নিউজ: রাজধানীতে ২৪৬ টি রুটে বর্তমানে কমপক্ষে ৭০০০ হাজার বাস চলাচল করছে। অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের সেবা না দিলেও আশপাশের জেলা থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০০০ বাস চলে ঢাকার রাস্তায়। বাস রুট আর চলাচলকারী পরিবহনের সংখ্যার মধ্যে ভারসাম্য নেই বলেই রাজধানীর গণপরিবহন এখনও গণমুখী হতে পারেনি।অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজট এবং যানজটের কারণে সময়মত গাড়ি না পাওয়ার ভোগান্তির চক্রে আবদ্ধ যাত্রীরা।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অতিদ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সমস্যা আরও বাড়বে। দু-একটি বিচ্ছিন্ন রুটে আংশিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিবর্তে পুরো শহরে একযোগে পদক্ষেপ নেয়ারও পরামর্শ তাদের। সিটি কর্পোরেশন ও পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের আশ্বাস-প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া খুব শিগগিরই শুরু হবে।
যাত্রীরা বলেন, অনেক সময় রাস্তা ফাঁকা থাকলেও বাসগুলো রাস্তায়ই দাঁড়িয়ে থাকে। এতে আমাদের খুব ভোগান্তি হয়।
চালকরা বলেন, যে পথ যেতে সাধারণত ৪০ মিনিট সময় লাগে সেখানে যেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।
সংকট সমাধানে ২০১৬ সালে উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। সবগুলো বাস কোম্পানিকে ৬টি প্রতিষ্ঠানের আওতায় এনে ২২টি রুট করার পরিকল্পনা করা হয়। এসময় গুলশান-বনানীতে ‘ঢাকা চাকা’ প্রকল্পের পর উত্তরা, বিমানবন্দর ও কুড়িল থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন কিছু প্রকল্প নেয়া হলেও এর কোনটিই আলোর মুখ দেখেনি।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ২০৩৫ থেকে ২০৪০ সাল পর্যন্ত বাসই ডমিনেটিং ফ্যাক্টর হয়ে থাকবে। সুতরাং ৩ থেকে ৪টি রুট বিবেচনায় নিলে হবে না। সবগুলো রুটকেই এর আওতায় আনতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন-প্রায় আড়াইশো কোম্পানির গাড়ি চলছে মালিকানা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নির্দেশনায়। একীভূত না হওয়ার কারণে কোন সংস্থার পক্ষেই এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তবে ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে ২টি সিটি করপোরেশন গণপরিবহন নিয়ে শিগগিরই মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরুর আশ্বাস দেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সিইও খান মোহাম্মদ বিলাল বলেন, আমরা অল্প কিছু দিনের মধ্যেই মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করব।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আহমদ বলেন, আমরা যদি এ কাজটির ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারি তাহলে আগামী ২ বছরের মধ্যেই যানজট নিরসনের নতুন ধারণাকে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন নিয়ন্ত্রণ এবং বাইরের গাড়িগুলো শহরের মধ্যে আসা বন্ধ করতে শহরতলীতে টার্মিনাল নির্মাণসহ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান পরিবহন বিশেষজ্ঞদের।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন