বাড়িকে আরশোলামুক্ত রাখবেন যেভাবে
মহিলারা সাপ দেখলেও হয়তো ততটা ভয় পান না, যতটা ভয় তারা একটা আরশোলা দেখলে পান! আরশোলাকে আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ গোছের সাধারণ পোকা মনে হলেও এটি কিন্তু অত্যন্ত ক্ষতিকর! কারণ আরশোলা ময়লা-আবর্জনা থেকে উঠে আপনার সারা ঘরময় ঘুরে বেড়ায়, খাবার-দাবারের ওপর হেঁটে চলে বেড়ায়। ফলে আরশোলা গায়ে বা পায়ে লেগে থাকা ক্ষতিকর জীবাণু আমাদের খাবারের সংস্পর্শে এসে আমাদের ক্ষতি করে। আরশোলা তার গায়ে বা পায়ের সঙ্গে নানা ক্ষতিকর রোগজীবাণু বহন করে বেড়ায়। নানা রোগজীবাণু ছড়ায় এ আরশোলার থেকেই। তাই ঘরবাড়ি থেকে আরশোলা দূর করা অত্যন্ত জরুরি।
বাড়িকে আরশোলামুক্ত করতে অনেকেই বাজারে পাওয়া একাধিক রাসায়নিকযুক্ত দামি স্প্রে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু তারপরও বাড়ি থেকে আরশোলার উপদ্রব চিরতরে বন্ধ করা যায় না। তাহলে কী করে আরশোলামুক্ত করবেন আপনার বাড়ি?
চিনি ও বেকিং সোডার ব্যবহার : বেকিং সোডার গন্ধ আরশোলা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। সমপরিমাণ চিনি আর বেকিং সোডা একসঙ্গে মিশিয়ে বাড়ির সব কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। চিনির গন্ধে আরশোলা আকৃষ্ট হয়ে বেকিং সোডা মিশ্রিত চিনি খেয়ে মারা পড়বে। সপ্তাহে দুই দিন করে অন্তত তিন সপ্তাহ এ পদ্ধতিটি কাজে লাগাতে পারলে আরশোলার উপদ্রব থেকে একেবারে মুক্তি পাওয়া যাবে।
বোরিক পাউডারের ব্যবহার : বোরিক পাউডার মূলত এক ধরনের এসিডিক উপাদান, যা পোকামাকড়ের যন্ত্রণা কমাতে সহায়ক। তবে আরশোলার উপদ্রব বন্ধ করার ক্ষেত্রেও বোরিক পাউডারের ব্যবহার করা চলে। এক চামচ বোরিক পাউডার, দুই চামচ ময়দা বা আটা আর এক চামচ কোকো পাউডার একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এ মিশ্রণটি বাড়ির সব কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। আরশোলা এ মিশ্রণে আকৃষ্ট হয়ে বোরিক পাউডার খেয়ে মারা পড়বে। সপ্তাহে তিন দিন করে অন্তত দুই সপ্তাহ এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারলে আরশোলার উপদ্রব থেকে একেবারে মুক্তি পাওয়া যাবে।
তেজপাতার ব্যবহার : আরশোলা তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ ও সস্তা উপাদান হলো তেজপাতা। তেজপাতার তীব্র গন্ধ আরশোলা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। তেজপাতা গুঁড়ো করে বাড়ির সব কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন এভাবে তেজপাতার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারলে আরশোলার উপদ্রব থেকে একেবারে মুক্তি পাওয়া যাবে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন