বাস করে ভারতে, কিন্তু চাকুরী বাংলাদেশে!
ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা: বাংলাদেশের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অথচ স্বামীসহ তার সংসার ভারতে। ঘর সংসার বসবাস মূলত ভারতে হলেও বাংলাদেশে এসে সরকারি বেতন নিয়ে যায়। এই চাঞ্চল্যকর খবরটি লোক জানাজানি হলে সেটা ম্যানেজ করার পাঁয়তারা চলছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
ঘটনাস্থল ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা। এখানকার ভোমরাদহ ইউনিয়নের রাধিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীতি রানী বাংলাদেশে সরকারি চাকরি করলেও স্বামী দেবাশিষের সঙ্গে সংসার করছে ভারতে। সবকিছু গত ১০ বছর ধরে গোপন রাখতে সক্ষম হলেও বাঁধ সাধলো সাম্প্রতিক পরিস্থিতি।
সীমান্তে কড়াকড়ির জন্য জরুরি প্রয়োজনেও চাকরিস্থলে ফিরতে না পারায় ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। একজন প্রাইমারি শিক্ষক জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে সে ধরা পড়তোনা, তবে যখন সময়সীমা অতিক্রম করলেও সরকারি আদেশ অনুযায়ী তার স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন সম্পন্ন হলো না সেটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গিয়েই বের হলো থলের বিড়াল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাধিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম যোগদান করে সে। দীর্ঘ ১০ বছর যাবত সে মাঝে মাঝে বিভিন্ন অজুহাতে ছুটি নিয়ে যাতায়াত করে ভারতে। এর মধ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে থাকার কথা থাকলেও সে বর্তমান অবস্থান করছে ভারতে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বাবা জগদীশ জানায়, আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে নওগাঁ জেলায়। তার স্বামী ভারতের দিল্লিতে বসবাস করে। এখন আমার মেয়ে সেখানেই আছে। আমার মেয়ে মাতৃত্বকালীন ৬ মাসের ছুটি নিয়ে তার স্বামীর কাছে গিয়েছে। এদিকে মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও টানা ৩ মাস যাবৎ সে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। এ নিয়ে দীর্ঘ ৯ মাসেও সে বাংলাদেশে ফেরেননি। স্থানীয়রা জানায়, প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের অনেক সমস্যা হছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন