‘বাংলাদেশ, চীন সম্পর্ক উচ্চতায়’
নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার ও আমদানির উৎস হলো চীন। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ১৮.৭ বিলিয়ন ডলার এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের বিপুল সুযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এক সম্মেলনে বক্তারা দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনাকালে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআপিএসএস) ১৮-১৯ ডিসেম্বর চায়না-বাংলাদেশ সহযোগিতা বিষয়ক ষষ্ঠ যৌথ ফোরামের আয়োজন করে। এতে চীনের ইউনান ডেভলপমেন্ট সেন্টার (ওয়াইআরডিসি) থেকে প্রতিধিদল, শিক্ষাবিদ ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে বিআইপিএসএস-এর প্রেসিডেন্ট আ ন ম মুনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশকে চীনের কুনমিংয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে ফাস্ট-ট্রাক ভিত্তিতে বাংলাদেশ-চায়না-ইন্ডিয়া-মিয়ানমার (বিসিআইএম) করিডোর বাস্তবায়ন করা জরুরি।
তিনি বলেন যে এই করিডোর হবে চীন ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার।
চীনের ইউনান প্রদেশ ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে ‘একাডেমি অব কমার্স অব ইউনান প্রভিন্স’র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিউ জাই বলেন, এটা পারস্পরিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য সুফল বয়ে আনবে।
বাংলাদেশের ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসী দুই দেশের মধ্যে পর্যটন জোরদারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই খাতের গুরত্বপূর্ণ উপাদান হলো মেডিকেল ট্যুরিজম।
অন্যদিকে সাংস্কৃতিক পর্যটনের গুরুত্ব তুলে ধরেন চীনের ‘ওয়ান বেল্ট অ্যান্ড ওয়ান রোড (ওবিওআর) রিসার্স ইন্সটিটিউট’র বিজনেস ম্যানেজার ইয়াং হাইয়ু।
‘ইউনান কমিউনিকেশন ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ’র ডেপুটি ম্যানেজার ঝাং লিয়াং বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে আড়াই হাজার বছর আগ থেকে যোগাযোগ রয়েছে। ওবিওআর এই দুই দেশের মধ্যে আরো বড় পরিসরে যোগাযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
বিআইপিএসএস ও চীনের ইউনান ডেভলপমেন্ট রিসার্স সেন্টার প্রতিবছর ঢাকা ও কুনমিংয়ে পালাক্রমে এই চায়না-বাংলাদেশ সহযোগিতা বিষয়ক যৌথ ফোরামের আয়োজন করে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন