বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মানে না হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ (ভিডিও)
৩ মার্চ ২০১৬, সাস নিউজ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে বাঙালি জাতির পিতা হিসেবে মানেন না হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ যুক্তরাষ্ট্য শাখার পরিচালক শ্যামল চক্রবর্তী। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের পালকী সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করেন তিনি।
শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা সবাই বলি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। হ্যা,বাঙালি জাতির পিতা। কিন্তু বাংলাদেশে শুধু বাঙালি থাকে না। বাংলাদেশে চাকমা থাকে,গারো থাকে, কোচি থাকে,হাজন থাকে। এ ছাড়াও আরো ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তা আছে। তারা বাঙালি হবে কি করে। ‘তোমরাও বাঙালি হয়ে যাও’ বঙ্গবন্ধুর এই উক্তি ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমার এখন মোহ কেটে গেছে। সত্য কথা বলার সময় এসে গেছে। সত্য যত তিতাই হোক না কেন তা কাউকে না কাউকে বলতেই হবে। বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই সাম্প্রদায়িকতার সূত্রপাত ।’
তিনি বলেন,‘১৯৭২ সাল থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা শুরু হয়েছে। সে সময় বাংলাদেশ সরকার রমনা কালিবাড়ি দখলের মাধ্যমে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। এতেই তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। সেটাকে পার্ক বানিয়ে কলকাতার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মহাধিনায়ক সোহরাওয়ার্দির নাম দিয়েছে। সত্য থেকে আমরা সরে যেতে পারবো না।’
শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পর জিয়াউর রহমান আসলেন। শহীদ জিয়াউর রহমান। আমি জানি না তিনি কোন ধর্মযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। তবে এতটুকু জানি চাকমাদের সংখ্যালঘু বানিয়েছিলেন। চাকমারা সংখ্যালঘু না। তারা সারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে তার সংখ্যাগুরু। কিন্তু তাদের তিনি সংখ্যালঘু বানিয়েছেন। সেই যুদ্ধে যদি তিনি শহীদ হয়ে থাকেন তাহলে তিনি শহীদ। শহীদের আরবিক অর্থ হচ্ছে ধর্মযুদ্ধ বা জিহাদে গিয়ে মারা গেলে তিনি শহীদ। আমার জানা নাই কোন ধর্মযুদ্ধে তিনি গিয়েছিরেন কি না।
তারপর আসলে এরশাদ সাহেব। তথৈবচ। আবার খালেদা বেগম। তথৈবচ। বর্তমানে বাংলার সম্রাজ্ঞী শ্রীমতি শেখ হাসিনা। বাংলার হিন্দু নাবলিকা মেয়েদের উঠিয়ে নেয়া হয় আর ওনার ব্লাউজ লম্বা হয়। ওনার হাতের ব্লাউজ লম্বা হলেও বাংলার হিন্দু নাবালিকাদের তুলে নেওয়া বন্ধ হবে না। আমরা কথায় কথায় বলি হেনোতেনো। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টানদের উপর হামলা করে মুসলিমরা। আজ অবদি এসব হামলার কোন বিচার হয়নি। এ পর্যন্ত কোন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান কোন মসজিদ-মাদ্রাসার উপর হামলা করে নাই। এই হল বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের প্রেক্ষাপট।
বাংলাদেশে আইন করে গো হত্যা বন্ধের আহবান জানিয়ে শ্যামল চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা হিন্দুরা গরুকে মাতা হিসেবে পুজা করি। সরকার যেন আইন করে গো হত্যা বন্ধ করে। সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় যে আইন ছিল তা আবার চালু করা হোক। বাংলাদেশে আর গো হত্যা করা যাবে না।’
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন