ফেরি থেকে নেমেই বিড়ম্বনায় ঢাকামুখিরা
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা: গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীরা পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইলযোগে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে বাস বন্ধ থাকার সুযোগে ছোট গাড়ির চালকরা জনপ্রতি ভাড়া আদায় করছে ৪-৫ গুন বেশি। সুযোগে বেশি ভাড়া আদায় করা হলেও এসব দেখার জন্য প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী মাইনুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ফেরি পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছান তিনি। যাবেন গাবতলীতে। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় যাওয়ার জন্য প্রাইভেটকার অথবা মোটরসাইকেলই ভরসা। মোটরসাইকেলে ঝুঁকি বেশি। তাই আরও কয়েকজনের সঙ্গে প্রাইভেটকারে করেই রওনা হলেন গাবতলীর পথে। জনপ্রতি ভাড়া ৪০০ টাকা। অথচ স্বাভাবিক সময়ে পাটুরিয়া থেকে গাবতলী পযর্ন্ত বাসভাড়া মাত্র ৯০ টাকা।
মাইনুলের মতো গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুট হয়ে দক্ষিু-পশ্চিমাঞ্চলের হাজারো মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে যাত্রী ও ছোট গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে বর্তমানে ছোট বড় ১৬টি ফেরি সচল রয়েছে। তবে সকাল থেকে পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে ৯টি ফেরি। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ আরো বাড়লে ফেরি সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
তিনি জানান, দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এবার যানবাহন পারাপারে কোনো সমস্যা হয়নি। ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠতে পেরেছে ছোট যানবাহনগুলো। লঞ্চ বন্ধ থাকায় যাত্রীও পারাপার হচ্ছে ফেরিতে।
এদিকে পদ্মায় পানি বেড়ে ভাঙন কবলিত হওয়ায় পাটুরিয়ায় ৪টি ঘাটের মধ্যে দুটির পল্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে ২ ও ৩ নম্বর ঘাট সচল রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘাটগুলো লো ওয়াটার থেকে মিড ওয়াটার লেভেলে স্থানান্তরের কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন