জিএম ফুড: ফলের স্টিকারে যে ‘সংখ্যাটি’ লেখা থাকলে সাবধান!
সাস নিউজ ডেস্ক: বাজারে বিভিন্ন ফলের গায়ে ছোট একটি স্টিকার অনেকেই দেখেছেন। আর এই স্টিকারেই ফলটির বিষয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়। এটি দেখে আপনি ফলটি খাবেন কি না, তার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই স্টিকার কোন ফল ক্ষতিকর, এবং কোন ফল আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী সে সম্পর্কেও ইঙ্গিত দেয়।
এই স্টিকার যদি নির্দিষ্ট বিধি মেনে তৈরি হয়ে থাকে, তা হলে স্টিকারের একেবারে নীচের দিকে একটি চার অঙ্কের সংখ্যা লেখা থাকবে। এবং এই চার অঙ্কের সংখ্যার প্রথম অঙ্কটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১. যদি সংখ্যাটি ৩ অথবা ৪ দিয়ে শুরু হয় তাহলে বুঝতে হবে, এই ফলটি নট-জিএমও প্রোডাক্ট। জিএমও বলতে বোঝায়, জেনেটিক্যালি মডিফায়েড অরগ্যানিজম, অর্থাৎ ডিএনএ-র অদলবদলের মাধ্যমে প্রস্তুত ফল। নট-জিএমও ফলের অর্থ, রাসায়নিক বা পেস্টিসাইড ব্যবহার করে প্রস্তুত নয় এই ফল।
২. যদি সংখ্যাটির প্রথম অঙ্ক হয় ৯, তা হলে এই ফল অর্গানিক। অর্থাৎ এগুলো জৈব ফল। রাসায়নিকের ব্যবহার হয়নি এই ফল উৎপাদনে।
৩. যদি সংখ্যাটি ৮ দিয়ে শুরু হয়, তা হলে এটি জিএমও ফুড। অর্থাৎ এটি জেনেটিক্যালি মডিফায়েড। স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরুপ। জিএম ফুডের অতিরিক্ত জিন দেহের পাকস্থলী কিংবা তন্ত্রের উপর হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বিশেষ করে জিএম ফুডে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিন অনুপ্রবেশ করালে দেহের এন্টিবডি বা উপকারী ব্যাকটেরিয়ার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। জিএম খাদ্য খেলে প্রজননক্ষমতা হ্রাস, শিশুর জন্মগত ত্রুটি, কিডনিতে সমস্যা, যকৃতে সমস্যা, ক্যান্সার ইত্যদি জটিল রোগ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে- জিএম ফুডে ঢুকানো অন্যজীবের জিন মানুষের পাকস্থলী ও অন্ত্রে হজম হয় না৷ কখনো রক্তের মাধ্যমে জন্মগত ডিএনএ-এর সাথে মিশে গিয়ে আচরণের পরিবর্তন আনে৷ এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি ১০০ ভাগ বেড়ে যায়।
বাংলাদেশে জিএমও ফুড ব্যবহার হলেও সেটা প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে না। অথচ বর্হিবিশ্বে জিএমও ফুড থাকলে তা প্যাকেটের গায়ে স্পষ্ট লেখা থাকে, ফলে অধিকাংশ মানুষ আগে থেকেই সচেতন হতে পারে।
কাজেই এ বার বাজার থেকে ফল কেনার সময়ে ভাল ভাবে খেয়াল করুন ফলের গায়ের স্টিকারটি। যদি স্টিকারের নীচে থাকে চার অঙ্কের সংখ্যা, এবং সেই সংখ্যার প্রথম অঙ্কটি হয় ৮, তা হলে ফলটি কিনবেন কি না তা আপনার সিদ্ধান্ত।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন