দেশে জ্ঞানের অভাব রয়েছে, অর্থের নয় -পরিকল্পনামন্ত্রী
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে টাকার কোনো অভাব নেই। কিন্তু জ্ঞানের বড়ই অভাব রয়েছে। শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে হবে। উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষার মান বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমরা অনেক পেছনে আছি। বাংলাদেশের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা আরও পিছিয়ে আছে। এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
রোববার সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শুধু রাস্তা-ঘাট তৈরি করলে হবে না। শিক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। বাংলাদেশেই বাঙালিদের জন্য একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বাংলাদেশ এখন সবদিকে উন্নত, সারাদেশের কোনো গ্রাম এবং ঘর বিদ্যুৎহীন নেই। আমাদের প্রচুর সম্পদ আছে শুধু আস্থা ও সাহসের অভাব। আমরা বিদ্যুৎ ও গড় আয়ু এবং শিক্ষায় ভারত পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে।
সিলেটেই আরেকটি অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশে এখন ভালো ভালো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এমন কোন বিষয় নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন না। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা মসজিদ, সড়ক, বাজার সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। সুনামগঞ্জে আগামীতে আরো অনেক কাজ হবে। শুধু একটি অনুরোধ যারা ভালো কাজ করে তাদেরকে মনে রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী ভালো কাজ করছেন, তিনি জনগণের সহযোগিতা আশা করেন। উন্নয়নের জন্য কোন টাকা পয়সা দেয়া লাগবে না শুধু সমর্থন দিলেই হবে। অন্য কোন দলকে ভোট দিয়ে লাভ হয়নি দেশের মানুষের আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ায় দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। নানান ধরনের কথা বলে তারা ভোট নেয় কিন্তু উন্নয়ন করে না। গ্রামের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। গ্রামের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দরদ বেশি। নারী পুরুষ শিশু সকলের জন্য কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। এই দেশের উপকার করছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডাবল লিফটিং সেচ প্রকল্পের পরিচালক সুলতান আহমেদ। তিনি বলেন, হাওরের পতিত জমি আবাদের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আমরা ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। সিলেট বিভাগে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলছে। এ প্রকল্প অনুমোদন হলে হাওরে কোন জমি পতিত থাকবে না। কৃষকরা স্বল্প খরচে জমিতে ধান চাষ করতে পারবেন। এখন সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। বেরিড পাইপ দিয়ে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে এতে পানির অপচয় অনেক কমবে। আগে মাটি বা পাকা সেচ নালা ছিলো এখন বারিড পাইপ দিয়ে সেচ নালা করায় পানির অপচয় অনেক কমেছে। এজন্য আগের চেয়ে বেশি জমিতে পানি সেচ দেয়া যাবে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলাবাজার এলাকায় মাহসিং নদীতে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের ডাবল লিফটিং সেচ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছে। ১২ দশমিক ৫ কিউসেক পানি সেচ ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্পে দিয়ে ৫০০ বিঘা পতিত জমিতে পানি সেচ দেবে। এক হাজার কৃষক প্রকল্পের সুফল ভোগ করবেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন