দুর্নীতিবাজ হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
এদিকে অর্থপাচারের ঘটনায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পিকে হালদারকে দেশে ফেরানো এবং গ্রেফতারের বিষয়ে দুই মাস আগে করা গ্রেফতারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরোয়ানা জারি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে করা এজাহারের ফটোকপি এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা আবেদনের কপি দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদককে এসব তথ্য-উপাত্ত আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারক নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারক আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।
এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন করেছিল আইএলএফএসএল। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত জানিয়েছিলো, পিকে হালদার কবে, কখন, কীভাবে দেশে ফিরতে চায় তা আইএলএফএসএল লিখিতভাবে জানালে সে বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে।
পরবর্তীতে পিকে হালদারের দেশে ফেরার বিষয়ে গত ২০ অক্টোবর হাইকোর্টকে জানায়। পিকে হালদারের প্রতিষ্ঠান আইএলএফএসএল’র পক্ষ থেকে হাইকোর্টকে জানানো হয়, ২৫ অক্টোবর দুবাই থেকে অ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা আসার জন্য টিকিট কেটেছে। বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টায় ফ্লাইটটি রাজধানীর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
সার্বিক দিক বিবেচনার পর পিকে হালদার হালদারকে দেশে ফেরার অনুমতি দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে হালদার দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের আইজি এবং ইমিগ্রেশন পুলিশকে নির্দেশ দেয় আদালত। পাশাপাশি কারাগারে থাকাবস্থায় পিকে হালদার যেন অর্থ পরিশোধের সুযোগ পায় সে বিষয়ে সুযোগ দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ১৫০০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে পিকে হালদার। এছাড়াও সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা সে আত্মসাৎ করেছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন