‘তিন দিন ঘরে থাইক্যা আজকা বাইর হইছি’
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারের হঠাৎ করেই অঘোষিত লকডাউনে স্থবির রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে অতি দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। খাবার ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে এবং কোনো দিক থেকে সহযোগিতা না পেয়ে রাস্তায় নামছেন তারা।
এমনই একজন তেজগাঁওয়ের আনোয়ার। দুই হাত অকেজো তার। পা দু’টোও স্বাভাবিক নয়। শারীরিক এই প্রতিবন্ধকতা নিয়েই তাকে পুরো সংসার চালাতে হয়। আয় করতে হয়। কিন্তু সরকার ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে থাকতে বলার পর গত তিন দিন আয়ের উদ্দেশ্যে বের হননি আনোয়ার। ঘরে ঢুকে যাওয়ার আগে যে চাল-ডাল কিনেছিলেন, এই তিন দিনে তা ফুরিয়ে গেছে। উপায়ান্তর না দেখে রাস্তায় বের হয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, পরিবারে আমরা তিনজন। আমার মেয়ে, স্ত্রী ও আমি। আধা ঘণ্টা আগে বের হইছি। বেশি টাকা-পয়সা পাই নাই। মানুষ নাই। তিনি বলেন, তিন দিন ঘরে থাকার পর আজকা বাইর হইছি। চাল-ডাল অল্প কিইন্যা রাখছিলাম, শ্যাষ। হের লেইগ্যা রাস্তায় বের হইছি। পাই নাই তো অহন তুরি (এখন পর্যন্ত তেমন কিছু পাইনি), পাইলে আবার বইসা থাকতাম ৫-৭ দিন।
আনোয়ার হোসেনের মতো অনেক দুস্থ এবং রিকশা চালক, দিনমজুর, মিনতি (মাথায় করে মালামাল নিয়ে যাওয়া), সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক, মোটরসাইকেল চালকসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় বের হয়েছেন ক্ষুধার জ্বালায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব দুঃস্থ-অসহায় মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা দরকার সরকার, জনপ্রতিনিধি এবং সমাজের বিত্তবানদের।
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন