জামিন পেয়েছেন খালেদা জিয়া
সাস নিউজ: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত গত ৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয় এবং তিনি বর্তমানে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
আজ (সোমবার) দুপুর আড়াইটার দিকে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিম সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ খালেদা জিয়ার বয়স, শারীরিক অসুস্থতা এবং সামাজকি মার্যাদা বিবেচনা করে তাঁকে জামিন দেন। জামিনের এই আদেশে সন্তোষ প্রকাশ করে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেছেন, “বিচারিক নিয়মে জামিন হওয়ায় তাঁরা সন্তুষ্ট।”
এর আগে, বেলা সোয়া দুইটার দিকে বিচারক আদালত কক্ষে আসেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীনের কাছে জানতে চান, তাদের কিছু বলার আছে কি না। তখন জয়নুল আবেদীন জানান, “জামিন আবেদনের শুনানি তো আগেই শেষ হয়েছে। আমরা আদেশের জন্য অপেক্ষা করছি।”
হাইকোর্ট থেকে জামিনের আদেশ হলেও বেগম জিয়া আজই কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন না। তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন রেডিও তেহরানকে বলেছেন, “হাইকোর্টের এ আদেশ নিম্ন আদালতে পৌঁছার পর সেখানে জামিননামা দিতে হবে। তারপর সেখান থেকে জামিনের নির্দেশ কারাগারে পৌঁছানোর পর মুক্ত হবেন বেগম জিয়া।”
গত মাসে সাজার রায় হওয়ার পর জামিন চেয়ে আপিল করেন খালেদা জিয়া। জামিন আবেদনের শুনানির পর নিম্ন আদালতের নথি পেলে আদেশ দেবেন বলে জানায় হাইকোর্ট। আজ দুপুরের ওই বেঞ্চে খালেদা জিয়ার মামলার ৫ হাজার ৩২৮ পৃষ্ঠার নথি পৌঁছায়।
সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। মামলার অন্য চার আসামি হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।#
পার্সটুডে
মন্তব্য
মন্তব্য করতে নিবন্ধন অথবা লগইন করুন